কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ। —ফাইল ছবি।
কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে হামলা চালানো চিকিৎসক-পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছেন কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি, শনিবারই ওই ১৫ জনকে অবিলম্বে হস্টেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ বার তাঁদের মধ্যে থাকা ইন্টার্নদের সাসপেন্ড করার জন্য স্বাস্থ্য দফতরকে জানালেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন চালাচ্ছেন কামারহাটির ওই মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকেরাও। এর জন্য তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বৃস্পতিবার কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে জানাতে গিয়েছিলেন সেখানকার জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। সেই সময়ে সেখানে হামলা হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই ‘উত্তরবঙ্গ লবি’-ঘনিষ্ঠ জুনিয়র-সিনিয়র চিকিৎসকদের দুর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হন আন্দোলনকারীরা। সরব হন অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান থেকে অন্যান্য সিনিয়র চিকিৎসকেরাও।
সেই আবহে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ করার সময়ে তোলা একটি ভিডিয়ো (আনন্দবাজার পত্রিকা যার সত্যতা যাচাই করেনি) প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণী জুনিয়র চিকিৎসক অভিযোগ করছেন, মৌখিক পরীক্ষার সময়ে তাঁকে বসিয়ে রেখে অবান্তর প্রশ্ন করেন এক সিনিয়র শিক্ষক চিকিৎসক।
আর এক তরুণী জুনিয়র চিকিৎসকের অভিযোগ, পরীক্ষা দিতে ঢুকলে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘ঠোঁট শুকিয়ে গিয়েছে?’’ ক্রিম ব্যবহারের প্রসঙ্গও তোলেন পরীক্ষক সিনিয়র চিকিৎসক। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এক সিনিয়র চিকিৎসক কিছু বলতে গেলে তাঁকে থামিয়ে দেনআন্দোলনকারীরা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘এমন অভিযোগ এলে তা নির্দিষ্ট কমিটির কাছে পাঠানো হয়। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’’