TET 2022

স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হোক এবার, পরীক্ষা শেষে চাইছেন সকলেই

বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, তিন দফায় পরীক্ষা করে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকানো হচ্ছে যুবক-যুবতীদের। প্রথমে মূল দরজায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:১০
Share:

পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে মেটাল ডিটেক্টর গিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। হাবড়ায় ছবিটি তুলেছেন সুজিত দুয়ারি

দুই জেলায় রবিবার নির্বিঘ্নেই শেষ হল প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। এ দিন পরীক্ষা ঘিরে প্রশাসনের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে-বাইরে কড়া পুলিশি নজরদারি ছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রের আশেপাশে জারি ছিল ১৪৪ ধারা। এ ছাড়া, বিভিন্ন এলাকায় খোলা হয়েছিল পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র।

Advertisement

সকাল থেকে ট্রেনে-বাসে পরীক্ষার্থীদের ভিড় ছিল। অতিরিক্ত যানবাহনের ব্যবস্থা রেখেছিল প্রশাসন। বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় পরীক্ষা। তার অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে শুরু করেন পরীক্ষার্থীরা। দফায় দফায় তল্লাশি চলে। ব্যাগ, মোবাইল, জলের বোতল-সহ অন্যান্য জিনিস বাইরে রেখেই ঢুকতে হয়েছে। নজরদারির দায়িত্বে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গেও ফোন ছিল না। বহু জায়গায় পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি চালানো হয়।

এ দিন সকালে বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, তিন দফায় পরীক্ষা করে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকানো হচ্ছে যুবক-যুবতীদের। প্রথমে মূল দরজায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ভিতরে ঢোকার পরে ব্যাগ, টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে দেখা হয়। দ্বিতীয় ধাপে অ্যাডমিট কার্ড ও আধার কার্ড দেখে অ্যাডমিট কার্ডে একটি টোকেন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তৃতীয় ধাপে কলেজের ভিতরে ঢোকার আগে বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করে পরীক্ষার্থীদের ছবি তুলে রাখা হয়। এ দিন ভাঙড়ের সুন্দিয়া সরলাবালা মতিলাল হাইস্কুলে পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে এক পরীক্ষার্থীর চোখে অসাবধানতায় পেন্সিল ফুটে যায়। চোখ ফুলে যায় তাঁর। পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকা মেডিক্যাল টিম শুশ্রূষা করে। পরে আলাদা একটি ঘরে তাঁর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।

Advertisement

নদিয়ার প্রিয়াঙ্কা মণ্ডলের সিট পড়েছিল ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ে। অ্যাডমিট কার্ডের ফটোকপি নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার কথা ছিল। ফটোকপি করাতে ভুলে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এ দিকে, প্রশাসনের নির্দেশে পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে সমস্ত ফটোকপির দোকান বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে ভাঙড়ের সিআই প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় এক দোকানদারকে ফোন করে ডেকে এনে দোকান খুলিয়ে ফটোকপি করানোর ব্যবস্থা করেন। সেই কপি পাঠিয়ে দেওয়া হয় পরীক্ষার্থীর কাছে।

পরীক্ষা শেষে অনেকেরই দাবি, এবার স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হোক। বনগাঁ শহরের বাসিন্দা পুষ্পিতা শীলের সিট পড়েছিল বারাসতে। পুষ্পিতা বলেন, “শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। একটা সময়ে চাকরি পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। পরীক্ষা ভাল দিয়েছি। আশা করছি স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হবে।” হৃদয়পুরের বাসিন্দা ইশা বিশ্বাস এ দিন পরীক্ষা দেন হাবড়া শ্রীচৈতন্য কলেজে। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে আসেন ইশা। বললেন, “স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে, এই আশা নিয়েই পরীক্ষা দিতে এসেছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement