—প্রতীকী ছবি।
মেছোভেড়ির নিলাম ঘিরে শনিবার উত্তেজনা ছড়াল ভাঙড়ের নাংলা গ্রামে। চাষিদের সঙ্গে ভেড়ি-মালিকদের মধ্যস্থতায় বাধা দিচ্ছে আইএসএফ— এই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। আইএসএফের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল কাটমানি খাওয়ার জন্য পুলিশকে দিয়ে নিলাম ভেস্তে দিয়েছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের বাদানুবাদ হওয়ায় কাশীপুর থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ভাঙড় ২ ব্লকের ভোগালি ১ পঞ্চায়েতের নাংলা পালপুর এলাকায় প্রচুর ভেড়ি রয়েছে। মাছ চাষের জন্য সেগুলি ইজারা দেওয়া হয়। আইএসএফের দাবি, চাষিরাই সরাসরি দর এবং কে
ইজারা পাবেন, তা ঠিক করবেন। তৃণমূল নেতৃত্বকে ঠিক করতে দেওয়া হবে না। এই নিয়ে শনিবার ওই এলাকার ১০৮ বিঘা জমির জন্য নিলাম ডাকেন আইএসএফ নেতৃত্ব। নিলামে বিঘাপ্রতি ২০ হাজার টাকারও বেশি দর ওঠে। কিন্তু পুলিশ এসে আলোচনা ভেস্তে দেয় বলেই আইএসএফের অভিযোগ।
তবে পুলিশের দাবি, ভেড়ি নিলামের জন্য যে কমিটি আছে, সেই কমিটিকে অস্বীকার করে আইএসএফ নিজেরাই নিলাম ডেকেছিল। তাই অশান্তির ভয়ে তারা বাধা দেয়। আইএসএফের পাল্টা দাবি, তৃণমূল কাটমানি খাওয়ার জন্য পুলিশকে দিয়ে নিলাম বানচাল করে দিয়েছে। এ নিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রবীর গায়েন বলেন, “ভেড়ি ইজারার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এলাকায় অশান্তি এড়াতে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক, এটাই আমাদের দাবি।” গত বছর বিঘাপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে ইজারা দেওয়া হয়েছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।