প্রতীকী ছবি
স্নায়ুর রোগে ভূগছিল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। রোগ সারাতে চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে গিয়ে বাবা তাকে নিয়ে যান গুনিনের বাড়িতে। বিস্তর ঝাড়ফুঁক, তুকতাকের পরে গুনিন নিদান দেয়, বছর ষোলোর ছাত্রীকে মাথা ন্যাড়া করে জল ঢালতে হবে।
তাতেও অবশ্য রোগমুক্তি ঘটেনি। এ দিকে, লজ্জায় ঘর থেকে বেরোতে পারছে না মেয়েটি। ঘটনাটি দেগঙ্গার সুন্দেপুকুর গ্রামের। পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে রাজ্য বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী মঞ্চ মেয়েটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। ওষুধপত্র জোগান দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক প্রদীপ সরকার।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটি সপ্তাহ দু’য়েক ধরে অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। পরিবারের ধারণা হয়, তাকে ‘ভূতে ধরেছে।’ তারপরেই চলে গুনিনের কেরামতি।
মঙ্গলবার মেয়েটির বাড়িতে যান রাজ্য যুক্তিবাদী মঞ্চের দুই সদস্য। মেয়েটির বাবা বলেন, ‘‘আমরা গরিব মানুষ। টাকা কোথায় পাব। তাই গুনিনের বাড়িতে গিয়েছিলাম ঝাড়ফুঁক করাতে। এখন বুঝতে পারছি, মেয়ের চিকিৎসার প্রয়োজন।’’ মেয়ের মা মঞ্চের সদস্যদের কাছে মেয়ের সঠিক চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান।
প্রদীপ বলেন, ‘‘গ্রামীণ সমাজে আজও কুসংস্কার জাল বিছিয়ে রয়েছে। ঝাড়ফুঁক, তুকতাকে বিশ্বাস করেন অনেকেই।’’