Crime

মৃত্যুর কারণ কী, দাবি তদন্তের

বৃহস্পতিবার কলেজে এসে শিক্ষকের দেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২০ ০৩:১৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

শ্রেণিকক্ষ থেকে এক শিক্ষকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ঠিকমতো তদন্তের দাবি তুললেন মৃত শিক্ষকের সহকর্মীরা। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ক্লাসরুম থেকে সেই প্রতিষ্ঠানেরই চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক অভ্রজ্যোতি বিশ্বাসের (৩১) দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার কলেজ ক্যাম্পাসে অভ্রজ্যোতির স্মরণসভা করলেন সহকর্মীরা। এ দিন তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকায় আশ্বাস দিয়েছেন অন্য শিক্ষকরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার কলেজে এসে শিক্ষকের দেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। বৃত্তিমূলক শিক্ষার চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের একাংশ এই মৃত্যুর পিছনে কম বেতন ও কলেজ কর্তৃপক্ষের চাপকে দায়ী করেছেন। এ দিন এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে কলেজে একটি স্মরণসভা করেন অভ্রজ্যোতির সহকর্মীরা। জলপাইগুড়ি বৃত্তিমূলক শিক্ষক যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে স্মরণসভা ও প্রতিবাদ সভা করা হয়। শহরের সেন্টাল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কদমতলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ক্ষেত্রমোহন হাই স্কুল, মারোয়াড়ি গার্লস হাই স্কুল-সহ অন্য স্কুলের বৃত্তিমূলক শিক্ষকরা স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন।

যৌথ মঞ্চের দাবি, অভ্রজ্যোতির আর্থিক সমস্যা ছিল। বিষয়টি সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন তিনি। কলেজে অনুপস্থিত হলে বেতন কেটে নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তার জন্য অসুস্থ হলেও অভ্রজ্যোতি কলেজে এসে হাজিরার খাতায় সই করতেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের এরকমই নানা চাপে মৃত্যুর ঘটনা বলে যৌথ মঞ্চের সদস্যদের দাবি। শিক্ষকদের একাংশের দাবি, শিলিগুড়ি আইটিআই আঞ্চলিক দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর তপন রায় বৃহস্পতিবার রাতেই কলেজে এসে মৃত্যুর কারণ নিয়ে খোঁজখবর করেছেন। যদিও এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

অভ্রজ্যোতির সহকর্মী অরূপ সরকার বলেন, ‘‘সহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় আমরা শোকাহত। মৃত্যুর আসল কারণ বের করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার হোক। আমরা ওঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সব রকমের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক চাপেই এই আত্মহত্যা।

কলেজের অধ্যক্ষ রণবীর সিংহ বলেন, ‘‘এক শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement