প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে চিনের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে বানতলা চর্মনগরীর ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ চর্মনগরী গড়ে উঠেছে বানতলায়। বিভিন্ন ধরনের চামড়াজাত পণ্য তৈরি হয়। অধিকাংশ কাঁচামাল আসে চিন থেকে। করোনাভাইরাসের প্রভাব প্রথম দেখা দেয় চিনে। তারপরেই সে দেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায় অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে। এক দিকে কাঁচামালের অভাবে উৎপাদন কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। যা তৈরি সামগ্রী আছে, তা-ও অন্য দেশে রফতানি করতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানালেন অনেক ব্যবসায়ী।
বাম আমলে বানতলা চর্মনগরী গড়ে উঠেছিল বাসন্তী হাইওয়ে-লাগোয়া এলাকায়। এই মুহূর্তে চর্মনগরীতে ৬০০ ছোট-বড় চামড়ার কারখানা রয়েছে। লক্ষাধিক শ্রমিক এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ছাড়াও ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, জাপান, জার্মানি-সহ অন্যান্য দেশে রফতানি করা হয় এখানকার সামগ্রী।
ব্যবসায়ী শাহিদ পারভেজ, তাহির খুরশিদ বলেন, কাঁচা চামড়া শোধনের জন্য মূলত সোডিয়াম সালফেট ও চাইনিজ সোডা লাগে। চিন থেকে ওই কাঁচামাল আসে। এখন কাঁচামালের আমদানি বন্ধ থাকায় চামড়া শোধন করা যাচ্ছে না। ফলে ‘ফিনিশড লেদার’ দিয়ে জিনিসপত্র তৈরি করা যাচ্ছে না। যা পরিস্থিতি, কয়েক দিন এমন চললে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ওই ব্যবসায়ীরা।
ইতালিতে বানতলা চর্মনগরীর লেদার গুডসের চাহিদা সব থেকে বেশি। এখন সেখানেও করোনাভাইরাসের প্রভাব দেখা দেওয়ায় বাজার, শপিং মল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বানতলা চর্মনগরীর ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘সারা বছর এখান থেকে যে পরিমাণ মাল বিদেশে রফতানি করা হয়, এক ধাক্কায় তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এ রকম চলতে থাকলে চর্মশিল্প ভীষণ ভাবে মার খাবে। অনেকেই কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন।