শরীর চর্চায় নজর বনগাঁয় 

ইছামতী-লাগোয়া বনগাঁ শহরে এক কালে নদীতেই দাপাদাপি করে অনেকে সাঁতার শিখেছেন। অতীতে নদীতে সাঁতার প্রতিযোগিতাও হত। কিন্তু কচুরিপানা জমে সেই নদীর গৌরব এখন নেই। খালবিলের সংখ্যাও কমছে। 

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৩৪
Share:

তৈরি স্যুইমিং। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

স্যুইমিং পুল পাচ্ছে বনগাঁ। সেই সঙ্গে তৈরি হয়েছে ব্যাডমিন্টনের ইনডোর কোর্ট। আজ, বুধবার উদ্বোধন হওয়ার কথা দু’টিরই। বনগাঁর ক্রীড়ামোদী মানুষ তাতে উচ্ছ্বসিত।

Advertisement

ইছামতী-লাগোয়া বনগাঁ শহরে এক কালে নদীতেই দাপাদাপি করে অনেকে সাঁতার শিখেছেন। অতীতে নদীতে সাঁতার প্রতিযোগিতাও হত। কিন্তু কচুরিপানা জমে সেই নদীর গৌরব এখন নেই। খালবিলের সংখ্যাও কমছে।

এই পরিস্থিতিতে স্যুইমিং পুলের দাবি উঠছিল বনগাঁ শহরে। পুরসভার তরফে তৈরি হয়েছে সেটি। একই চত্বরে থাকছে মাল্টিজিম এবং ইনডোর ব্যাডমিন্টন কোর্ট। বনগাঁ থানার কাছে পূর্ত দফতরের জমিতে এ সব তৈরি হয়েছে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, তৈরিতে খরচ হয়েছে ৪ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। সকাল ৬টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৩টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পুল খোলা থাকবে। সোমবার বন্ধ থাকবে পুল। ৪৫ মিনিট করে সাঁতার কাটার সুযোগ পাবেন একেকজন। পুরুষ-মহিলা-শিশুদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকছে।

অন্য দিকে, ব্যাডমিন্টন চলবে বিকেল ৩টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘‘সাঁতার, ব্যাডমিন্টন ও জিমের প্রশিক্ষক রাখা হচ্ছে। আগামী দিনে বনগাঁ থেকে ভালমানের সাঁতারু এবং ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য।’’

ফুটবল ও ক্রিকেটে বনগাঁর সুনাম ছিল অতীতে। অনেকেই কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন এখান থেকে। বনগাঁর কয়েক জন যুবক এখনও বয়স্কদের রাজ্য ক্রিকেট খেলছেন। বাংলা রঞ্জি দলের বর্তমান অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন বনগাঁ ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকেই উঠে এসেছিলেন প্রশিক্ষক অপু সেনগুপ্তের হাত ধরে।

ক্রীড়াপ্রেমীরা মনে করছেন, স্যুইমিং পুল, মাল্টিজিম ও ব্যাডমিন্টন কোর্ট তৈরি হওয়ায় খেলাধূলার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে। নতুন প্রতিভা উঠে আসবে। বনগাঁ থেকে অনেকে কাঁচরাপাড়া, সোদপুরে গিয়ে ব্যাডমিন্টনের প্রশিক্ষণ নেন। এখন বনগাঁতেই সেই সুযোগ মেলায় তাঁরা খুশি। প্রবীণ বাসিন্দাদের অনেকের অবশ্য আক্ষেপ, ‘‘আমাদের সময়ে যদি এ সব ব্যবস্থা থাকত, তা হলে শরীরটা আরও অনেক দিন সচল করে রাখা যেত!’’ অনেকে বলেন, ‘‘মনে আছে, ছোটবেলায় নদীতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাঁতার কাটতাম। বাবা-কাকারা লাঠি হাতে আমাদের জল থেকে তুলতে যেতেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement