শল্য চিকিৎসা বিভাগ চালাতে এই হাসপাতালে সমস্যায় পড়েছেন কর্তৃপক্ষ। নিজস্ব চিত্র।
হাসপাতালে শল্য চিকিৎসক ৩ জন। তার মধ্যে ২ জনই করোনায় আক্রান্ত।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার থেকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে শল্য বহির্বিভাগ বন্ধ করে দিলেন কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘একজন শল্য চিকিৎসক দিয়ে এখন শল্য ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী দেখা এবং জরুরি অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। শল্য বহির্বিভাগ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। আশা করছি ৭ দিন পর থেকে বহির্বিভাগটি ফের চালু করা যাবে। হাসপাতালে এখন বড় কোনও অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখা হয়েছে। জরুরি নয়, এমন অস্ত্রোপচারও আপাতত বন্ধ।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক ও নার্সদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১০ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স এবং ৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।
এর ফলে রোগীদের পরিষেবা দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতাল সুপার বলেন, ‘‘প্রত্যেক দিন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এখন পরিষেবা ঠিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে এ ভাবে চলতে থাকলে জানি না আর কতদিন পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে পারব।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ২৫০টি কোভিড শয্যা চালু করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২০টি কোভিড শয্যা ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। সুপার বলেন, ‘‘মঙ্গলবার পর্যন্ত হাসপাতালে ৩ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন।’’
করোনা সংক্রমণ বাড়লেও হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে এখন সচেতনতা আসেনি। কিছু মানুষ এখনও বেপরোয়া। মঙ্গলবার হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, রোগীর আত্মীয়দের একাংশ মাস্ক ছাড়া বা মাস্ক থুতনিতে নামিয়ে হাসপাতাল চত্বরে ঘোরাঘুরি করছেন। খোলা জায়গায় বসে খাওয়া-দাওয়া চলছে। কয়েকজনকে দেখা গেল, মাস্ক নামিয়ে বিড়ি টানছেন। রোগী নিয়ে আসা এক ভ্যান চালককে মাস্ক ছাড়া দেখা গেল।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হাসপাতালে করোনা রোগী ছাড়াও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষ আসেন। রোগীর আত্মীয়দের এখানে আরও বেশি সতর্কতা মেনে চলা উচিত।
তবে বনগাঁ শহরের মানুষের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা বেড়েছে কিছুটা। পুলিশ নিয়মিত ধরপাকড় চালাচ্ছে।