বাসস্ট্যান্ড ঢাকা পড়েছে প্যান্ডেলে। —নিজস্ব চিত্র।
বাসস্ট্যান্ডে মাইক বাজিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাধ্য হয়ে রাস্তার উপরেই পার্কিং করা হচ্ছে বাস এবং ছোট গাড়ি। তৈরি হচ্ছে যানজট। কাকদ্বীপের প্রাণকেন্দ্র এসডি ১৯ বাসস্ট্যান্ডের অবস্থা এমনই।
কিছু দিন পরেই শুরু হবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। অথচ পুজোর পর থেকেই নানা অনুষ্ঠানে দেদার মাইক বাজছে ওই বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। সমস্যায় পড়ছে ওই এলাকার পরীক্ষার্থীরা। বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া পুরনো কোর্ট এলাকার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক জয়ন্ত সিকদারের ক্ষোভ, ‘‘ছেলে মাধ্যমিক দেবে। কিন্তু বিদ্যুতের খুঁটিতে প্রায়ই তারস্বরে মাইক বাজছে। ওই বিকট আওয়াজের জন্য পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’মাসে ওই বাসস্ট্যান্ডে হয়ে গিয়েছে থানা সমন্বয় কমিটি, ক্লাব এবং সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের অনুষ্ঠান। এছাড়াও হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স উদ্বোধন, বিবেক মেলা। অভিযোগ, এর মধ্যে কয়েকটি অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক অনুমতিও ছিল না। বাসস্ট্যান্ডটির উল্টো দিকে রয়েছে কাকদ্বীপ আদালত। এছাড়া ওই বাসস্ট্যান্ড পেরিয়েই কাকদ্বীপ হাসপাতাল যেতে হয়। ফলে সমস্যায় পড়েন অনেকেই।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, যে কোনও অনুষ্ঠানে মাইক বাজালে পুলিশের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু সরকারি অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে তেমন কড়াকড়ি করা হয় না। তবে পরীক্ষার আগে ওই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাইক বাজানো বন্ধ থাকে সেই ব্যবস্থা করা হবে।
কাকদ্বীপ শহরে অনুষ্ঠান করার জন্য বিধান ময়দান, একটি বেসরকারি কমিউনিটি হল এবং স্টেডিয়াম রয়েছে।
কিন্তু সেখানে অনুষ্ঠান না করে বাসস্ট্যান্ডকে বেছে নেওয়া হচ্ছে কেন? কাকদ্বীপের বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, ‘‘কমিউনিটি হলের শব্দব্যবস্থা ঠিকঠাক নয়। স্টেডিয়ামটি শহর থেকে একটু দূরে। যত দ্রুত সম্ভব কাকদ্বীপে রবীন্দ্র ভবন তৈরির চেষ্টা চলছে।’’