হাসতে-হাসতে: মিষ্টি খাইয়ে সচেতনতা আনার চেষ্টা। বসিরহাটে ছবিটি তুলেছেন নির্মল বসু
পথ নিরাপত্তা নিয়ে প্রচার চলছে জোরকদমে। কিন্তু সচেতনতা সেভাবে বাড়ছে না। হেলমেট ছাড়াই মোটরবাইক নিয়ে চালাচ্ছেন বেশিরভাগ আরোহী। তাই এ বার শুধু পদযাত্রা কিংবা মাইক প্রচার নয়, বিনা হেলমেটের যাত্রীদের মিষ্টি ও গোলাপ দিয়ে ‘স্বাগত’ জানাল পড়ুয়ারা।
সম্প্রতি বসিরহাট ও বনগাঁ মহকুমায় পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যাঁরা মারা গিয়েছেন বিনা হেলমেটের মোটরবাইক আরোহীরা। তাই সাধারণ মানুষের হেলমেট পরে মোটরবাইক চালানোর প্রবণতা বাড়াতে মিষ্টি, গোলাপ দেওয়ার উদ্যোগ।
শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ পোস্টার, ব্যানার হাতে স্কুলের ছাত্রছাত্রী, সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ বসিরহাট মহকুমার কর্তারা পদযাত্রা শুরু করেন। ছিল ট্যাবলো। পদযাত্রা চলাকালীন পুলিশকর্মীরা ইটিন্ডা রোডের উপরে বসে থাকা ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দেন। হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক আরোহীদের দাঁড় করিয়ে গোলাপ ফুল, চকলেট, মিষ্টি ও লিফলেট দেওয়া হয়। বসিরহাটের ইছামতী সেতুর কাছে পদযাত্রাটি শেষ হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন মহকুমাশাসক নীতেশ ঢালি। ছিলেন বসিরহাটের এসডিপিও শ্যামল সামন্ত, বসিরহাট থানার আইসি নাসিম আখতার, বসিরহাট জেলা হাসপাতালের সুপার শ্যামল হালদার, সহকারী সুপার অরিত্র দত্ত প্রমুখ।
বসিরহাটের ভ্যাবলা হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী রিম্পা দাস, সুলতা ঘোষেরা বলে, ‘‘এরপরেও যদি মোটরবাইক আরোহীরা হেলমেট না পড়েন, তা হলে সেটা খুবই দুঃখের।’’ বসিরহাট মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবারের কর্মসূচির আগে শুক্রবার রাতে বসিরহাটের ইটিন্ডা রোড এবং টাকি রো়ডের উপরে পড়ে থাকা ইট, বালি এবং পাথর বাজেযাপ্ত করা হয়েছে।
শুক্রবারই বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া পেট্রাপোল বন্দর এলাকাতেও বিনা হেলমেটের মোটরবাইক আরোহীদের মিষ্টি খাওয়ানো হয়। যাঁরা হেলমেট পড়ে ছিলেন না, তাঁদের বাইকে ‘হেলমেট ব্যবহার করুন’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও কোনও আরোহী জানান, তাঁদের সুগার রয়েছে। তখন পুলিশ জানায়, হেলমেট না পরলে মিষ্টি খেতেই হবে। এরপরs হেলমেট না পরে ধরা পড়লে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি যশোর রোডেও পথ দুর্ঘটনায় কয়েকজন মোটরবাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবারের কর্মসূচিতে ছিলেন বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায়, গাইঘাটা চক্রের সিআই পার্থ সান্যাল, পেট্রাপোল থানার ওসি কল্লোল ঘোষ প্রমুখ।