ছন্দে: ফলতায় কাজে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা। ছবি: দিলীপ নস্কর
ধর্মঘটের আবহেও ফলতা শিল্পাঞ্চলের কলকারখানাগুলিতে বৃহস্পতিবার অনেক শ্রমিকই যোগ দিলেন কাজে। উৎপাদনেও বিশেষ প্রভাব পড়েনি বলে কারখানা মালিকেরা অনেকে দাবি করেছেন।
ফলতা শিল্পাঞ্চলে অনেক কারখানা এমনিতেই বন্ধ। তবে চালু কারখানাগুলিতে দুপুরের দিকে চোখে পড়ল কর্মব্যস্ততা। একটি কারখানার নিরাপত্তারক্ষী জানালেন, করোনার জেরে এমনিতেই কর্মী অনেক কমে গিয়েছে। তবে ধর্মঘট উপেক্ষা করেও অনেকে এসেছেন। ছোট গাড়ি বা সাইকেলে করে এসেছেন বহু শ্রমিক। কারখানার শ্রমিক দুলাল মণ্ডল, অমল বৈরাগীরা জানালেন, আর পাঁচটা দিনের মতোই সাইকেলে করে কাজে এসেছেন। কলকারখানার আশেপাশের এলাকায় অবশ্য দোকান-পাট বেশিরভাগ বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল বাস চলাচলও। বানতলা চর্মনগরীতেও ধর্মঘটের তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। তবে অনেক কর্মী জানান, এ দিন চর্মনগরীতে কাজে যোগ দিতে আসার পথে বামনঘাটা, ভোজেরহাট সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বাধার সম্মুখীন হতে হয়। রাস্তায় যথেষ্ট সরকারি বাস থাকলেও বেসরকারি বাস তেমন রাস্তায় নামেনি। চর্মনগরীর শ্রমিক বিপ্লব মণ্ডল বলেন, “লকডাউনে দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকায় কাজকর্ম ছিল না। এই পরিস্থিতিতে বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও কাজে এসেছি।” কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা বলেন, “কিছু শ্রমিক আসতে পারেননি। উৎপাদনে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে অন্যান্য কাজ স্বাভাবিক হয়েছে।”