টিটাগড় ও খড়দহ স্টেশনের মাঝে এক যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। অংশুমান চট্টোপাধ্যায় (৩৭) নামে ওই যুবকের বাড়ি নৈহাটিতে। কী ভাবে তিনি সেখানে পড়ে গেলেন, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে রেল পুলিশের অনুমান, অংশুমান কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই এই ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে রেল পুলিশ জেনেছে, অংশুমান বারাসতের এক কম্পিউটার সংস্থায় অফিস অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজ করতেন। ওই রাতে সহকর্মীদের সঙ্গে দমদম স্টেশনে আসেন তিনি। পরে একাই নৈহাটির ট্রেনে উঠেছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে, চলন্ত ট্রেন থেকে ওই যুবক যদি পড়েও যান, তবে তা কারও নজরে পড়ল না কেন? তিনি টিটাগড় ও খড়দহের মাঝখানে কোথাও নামতে চেয়েছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পুলিশ জেনেছে ট্রেনের ধাক্কায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর আত্মীয়েরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর ল্যাপটপের ব্যাগ পাওয়া যায়নি। মানিব্যাগেও অল্প কিছু টাকা পড়েছিল। পুলিশের দাবি, ট্রেন পিছন থেকে ওই যুবককে ধাক্কা মারে। সে ক্ষেত্রে তাঁকে কেউ রেললাইনে ঠেলে দিয়েছিল কি না, তা নিয়েও ভাবছে পুলিশ। স্থানীয় রেল পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগ জমা প়ড়েনি। সব দিকই খতিয়ে দেখছি।’’
পরিবার সূত্রে খবর, অংশুমান আংশিক অটিস্টিক ছিলেন। স্কুলে পড়াশোনায় অসুবিধা হলেও তিনি পরে মুক্ত বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। বিয়ের চিন্তাও করছিলেন। অংশুমানের দুই দিদির মধ্যে এক জন দুর্ঘটনার রাতে তাঁদের নৈহাটির বাড়িতে ছিলেন। ভাই না ফেরায় বার বার ফোন করেন তিনি। সকালের দিকে এক পুলিশকর্মী ফোন ধরলে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পান। অংশুমানের দিদি সুস্মিতা লাহিড়ী বলেন, ‘‘রাতে ফোন করে ভাই বলেছিল, দেরি হলেও বাড়ি ফিরে খাবে। শেষ পর্যন্ত কী হল, অন্তত সেটুকু জানতে চাই আমরা।’’