—নিজস্ব চিত্র।
পুলিশ শিবিরে অভিযোগ জানাতেই স্ত্রী-ছেলেকে ফিরে পেলেন দেগঙ্গার এক বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন যুবক মিরাজুল মণ্ডল। শুক্রবার পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলনের পর আবেগে ভাসলেন ওই যুবক।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বারাসত পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে প্রতিটি থানা এলাকায় ‘সংযোগ’ নামে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ওই কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে শিবির করে মানুষের অভিযোগের কথা শুনবে পুলিশ। তা সমাধানের চেষ্টাও করবে।
শুক্রবার আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে পুলিশ শিবিরে হাজির হন দেগঙ্গার এসডিপিও সৌম্যজিৎ বড়ুয়া এবং আইসি অজয়কুমার সিংহ। প্রায় ৩০টির বেশি অভিযোগ পুলিশের কাছে জমা পড়ে। আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়গাছিয়া বাসিন্দা যুবক মিরাজুল পুলিশকে জানান, সাংসারিক অশান্তির কারণে তাঁর দু’বছরের ছেলেকে নিয়ে বাপেরবাড়িতে চলে গিয়েছেন স্ত্রী বিলকিস বিবি। বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মিরাজুলের হাঁটাচলার শক্তি নেই। হুইল চেয়ারে বা কারও কোলে চেপে যাচায়াত করতে হয়।
মিরাজুলের কথা শুনে তাঁর শ্বশুরবাড়ি আমুলিয়ার চাঁদপুরে খবর পাঠান দেগঙ্গার এসডিপিও এবং আইসি। পুলিশের নির্দেশে মিরাজুলের স্ত্রী-কে নিয়ে আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুয়ারে শিবিরে হাজির হন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দু’পক্ষের অভিযোগ শোনার পর মিরাজুলের সাংসারিক অশান্তি মিটিয়ে দেন দেগঙ্গা পুলিশ আধিকারিকেরা। মিরাজুল এবং বিলকিসের হাতে হাত রেখে তাঁদের মুখে হাসি ফোটান পুলিশকর্তারা। দীর্ঘদিনের বৈবাহিক সম্পর্কে ছেদ ঘটলেও স্ত্রী, ছেলেকে ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মিরাজুল।