জলে ডোবা রোগীর জ্ঞান ফেরানোর পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বার বারই বিপদে পড়েছেন এলাকার বহু মানুষ। এ ধরনের বিপর্যয় ঘটলে কী ভাবে তার মোকাবিলা করতে হবে, তা নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল সন্দেশখালি থানার তুষখালি ফ্লাড শেল্টারে।
সন্দেশখালি ২ ব্লক নদীবেষ্টিত এলাকা। প্রায়ই বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় গ্রাম। ঝড়-ঝঞ্ঝার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় লেগেই থাকে। ব্লকের সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারের কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যেরা গ্রামবাসীদের হাতে-কলমে শেখান, কেউ জলে ডুবে গেলে উদ্ধার করার পরে কী করতে হবে। কোনও মানুষকে উদ্ধার করার জন্য দড়িতে কী ভাবে বিশেষ গিঁট দিতে হবে। বোঝানো হয়, সাপের ছোবলে রোগীকে কী ভাবে প্রাথমিক শুশ্রুষা করতে হবে। উদ্ধারের সময়ে কম ওজনের মানুষ কী ভাবে ভারী ওজনের মানুষকে সহজে কাঁধে তুলতে পারবেন, সেই কৌশলও দেখানো হয়। হাতেকলমে শেখানো হয় ব্যান্ডেজ করার পদ্ধতি। সেই সঙ্গে বিপর্যয়ের সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখে যুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সন্দেশখালি ২ ব্লকের বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক আবদুল কাসেম বলেন, ‘‘এই ব্লক প্রাকৃতিক বিপর্যয়প্রবণ। তাই একে একে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় এই ধরনের শিবির করার পরিকল্পনা আছে। আশা করা যায়, এতে বিপদের মোকাবিলা করা সহজ হবে।’’