দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনকর্মীদের হাতে এল আধুনিক ‘ট্র্যাঙ্কুলাইজ়ার গান’। —নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ দিন ধরেই বাদাবন থেকে গ্রামে ঢুকে পড়া বাঘকে বশ মানাতে ভরসা ছিল পুরনো আমলের কাঠের ঘুমপাড়ানি বন্দুক। এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনকর্মীদের হাতে এল আধুনিক ‘ট্র্যাঙ্কুলাইজ়ার গান’। সৌজন্যে, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ‘ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া’ (ডব্লিউটিআই)।
ঝড়খালি বন্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে ডব্লিউটিআই-এর পক্ষ থেকে দু’টি আধুনিক ঘুমপাড়ানি বন্দুক দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হল। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ এবং সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীদের একাংশকে বন্দুক দু’টির ব্যবহার এবং রক্ষণাবেক্ষণের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশু চিকিৎসক তথা ডব্লিউটিআই-এর উত্তর-পূর্ব ভারত বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান ভাস্কর চৌধুরী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল সহকারী বনাধিকারিক অনুরাগ চৌধুরী এবং ডব্লিউটিআই-এর প্রসেনজিৎ শীল ও সম্রাট পাল ছিলেন ঝড়খালির ওই কর্মসূচিতে। ডিএফও বলেন, ‘‘গত বছর মোট ছ’বার বাঘ সংরক্ষিত অরণ্য থেকে গ্রামে ঢুকেছিল। এর মধ্যে দু’বার তাদের বাগে আনতে ঘুমপাড়ানি বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে। এত দিন পর্যন্ত আমরা কাঠের ভারী ‘ট্র্যাঙ্কুলাইজ়ার গান’ ব্যবহার করতাম। বিশ্বমানের এই নতুন যন্ত্র দু’টি অনেক হালকা। ফলে ব্যবহার করতেও সুবিধা হবে।’’