মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজ়েবে সমাধিটি মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলায়। খুলতাবাদ শহরে। কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দলের মতো সংগঠন ঔরঙ্গজ়েবে এই সমাধিকে সরানোর দাবি করে। ‘সমাধি হটাও’ স্লোগান তুলে প্রতীকি সমাধি এবং মুঘল সম্রাটের কুশপুতুল পোড়ায়।
১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় ভিকি কওসল অভিনীত ‘ছাওয়া’। ছবির প্রোটাগনিস্ট ছত্রপতি শিবাজি’র সন্তান সম্ভাজি। ঐতিহাসিক এই চরিত্রকে নিয়েই যাবতীয় মাতামাতি। কিন্তু এই সম্ভাজির এই চরিত্রটি নির্মাণ করতে গিয়ে ঐতিহাসিক দলিল, নথি—এ’সব খতিয়ে দেখেছেন তো নির্মাতারা? কেননা সম্ভাজি চরিত্রটি বেশ বিতর্কিত। ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকার তো সম্ভাজিকে শিবাজির বৃদ্ধ বয়সের অভিশাপ হিসেবে মনে করেন। এটা ঠিক সম্ভাজি এক জন দক্ষ যোদ্ধা। তিনি মুঘলদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু যোদ্ধা সম্ভাজিকে ছাপিয়ে গিয়েছে তাঁর রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা, বেলাগাম জীবনযাপন। ছবির নির্মাতারা এ’সব তথ্য নিয়ে মাথা ঘামাননি বলেও মনে হয়।
ছবির ন্যারেটিভ একটাই, প্রোটাগনিস্ট সম্ভাজি একজন নায়ক। আর মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজ়েব একজন হিন্দুবিরোধী দুর্বৃত্ত।