প্রতীকী ছবি।
পুলিশি হেফাজতে থাকা তিন দুষ্কৃতীকে জেরার সূত্রে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর থেকে ৮৫০ গ্রাম চোরাই সোনার গয়না উদ্ধার করল সোনারপুর থানার পুলিশ। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা। মঙ্গলবার রাতে সোনারপুরের মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা, বঙ্কিম কর্মকার নামে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে চোরাই গয়না উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোনারপুর থানা সূত্রের খবর, গত সোমবার একটি সোনার দোকানে ডাকাতির সূত্রে মুজিবর মণ্ডল, সৈফুদ্দিন মণ্ডল ও শঙ্কর দাস নামে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করে জানা যায়, ডাকাতি করা গয়না পাটুলি এলাকার একটি সোনার দোকানে বিক্রি করেছে তারা। এর পরেই তিন দুষ্কৃতীর এক জনকে দিয়ে ওই সোনার দোকানের মালিক বঙ্কিমকে ফোন করায় পুলিশ। বলা হয়, আরও কিছু সোনা রয়েছে, তা মালঞ্চে ব্যবসায়ীর বাড়ি নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হবে।
এর পরে মঙ্গলবার রাতে তিন দুষ্কৃতীকে নিয়ে সাদা পোশাকের পুলিশ মালঞ্চে বঙ্কিমের বাড়িতে হানা দেয়। সেই তল্লাশি অভিযানেই সাড়ে আটশো গ্রাম সোনার গয়না উদ্ধার হয়। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ওই বাজেয়াপ্ত গয়না কেনাবেচার কোনও রসিদ দেখাতে পারেনি বঙ্কিম। এর পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তকারীদের দাবি, বঙ্কিম ডাকাত দলের পান্ডা। ধৃত তিন জন বিভিন্ন সোনার দোকানে ডাকাতি করত এবং বাজারদরের অর্ধেক দামে সেই সোনা কিনে নিত বঙ্কিম। প্রায় দু’বছর ধরে এ ভাবেই সে চোরাই সোনা কিনেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। বঙ্কিমকে ধৃতদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর কোথায় কোথায় ধৃতেরা ডাকাতি করেছে এবং কত সোনা বঙ্কিমকে বিক্রি করেছে, তা-ও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।