মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার। — নিজস্ব ছবি।
মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। অনুমান, তাঁকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। সন্দেহের তির তাঁর ছেলের দিকেই। অন্য দিকে, শনিবার রাতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মৃতের ছেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কুলতলি ব্লক হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলেই খবর। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার জালাবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামতলা গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন কাশীনাথ হালদার (৫৫)। কৃষিকাজ করতেন তিনি। কাশীনাথের দুই সন্তান। কর্মসূত্রে ভিন্রাজ্যে থাকতেন তাঁর বড় ছেলে। বাড়িতে কাশীনাথ তাঁর ছোট ছেলে পরিমলকে নিয়ে থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিমল সে রকম কোনও কাজকর্ম করতেন না। প্রায়ই নেশা করে বাড়ি ফিরতেন। যা নিয়ে পরিমলের সঙ্গে ঝামেলা লেগেই থাকত। ছেলেকে শুধরানোর জন্য বকাবকি করতেন, এমনকি মারধরও করতেন কাশীনাথ। অভিযোগ, দিন কয়েক আগেই পরিমলকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেন তিনি।
অভিযোগ, পাঁচ দিন আগে পরিমল নেশা করে বাড়ি এলে তাঁকে বকাবকি করেন কাশীনাথ। রেগে গিয়ে বাবাকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন পরিমল। তার পর রাতের অন্ধকারে দেহ নিয়ে গিয়ে প্রতিবেশীর বাড়ির বাগানে পুঁতে দেন৷
এলাকার বাসিন্দারা পরিমলবাবুর খোঁজ না পাওয়ায় পরিমলকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন। তবে কিছুই জানেন না বলে এড়িয়ে যান তিনি। তার পর পাঁচ দিন কেটে যায়। শনিবার রাতে পরিমল বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরা জানতে পারেন, পরিমল তাঁর বাবাকে খুন করার কথা জানায় এক পরিচিতকে জানান। শুধু তা-ই নয়, দেহ কোথায় পোঁতা হয়েছে সেটিও জানান তিনি। গ্রামবাসী রামপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, ‘‘পরিমল বিষ খাওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরিমলকে বার বার তাঁর বাবার কথা জিজ্ঞেস করা হয়। প্রথমে কিছুতেই স্বীকার করতে চাইছিল না। তবে পরে জানায় বাবাকে খুন করার কথা।’’
তার পরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে শনিবার রাতেই মাটির নীচ থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রবিবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস।