প্রতিযোগিতা চলছে। -নিজস্ব চিত্র।
পড়ুয়াদের মাঠমুখী করতে অশোকনগরে আয়োজন করা হল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার। অতিমারির কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে পডুয়াদের। প্রায় এক বছর ধরে তারা ঘরবন্দি। স্কুলে যেতে পারছে না। বাড়িতে বসে মোবাইল ফোনেই ক্লাস করতে হচ্ছে। সবার কাছে মোবাইল ফোনের ব্যবস্থা নেই। তার উপর নেটওয়ার্কের সমস্যা তো রয়েইছে। এমতাবস্থায় শিক্ষায় সমান অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে পড়ুয়ারা।
এ তো গেল স্কুলের পঠনপাঠন বিষয়। এ ছাড়াও পড়ুয়াদের দৈহিক এবং মানসিক গঠনেও প্রভাব ফেলেছে করোনা। কারণ, মাঠে গিয়ে খেলাধুলো প্রায় বন্ধ তাদের। বেশিরভাগই এখন মোবাইল গেমের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তা করতে গিয়ে মোবাইল গেম একপ্রকার নেশায় পরিণত হয়েছে বর্তমান প্রজন্মের। পড়ুয়াদের তাই মাঠমুখী করার উদ্দেশে মঙ্গলবার আয়োজন করা হল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার। আয়োজক অশোকনগর বাইগাছির এক দল তরুণ।
বাইগাছির আটটি গ্রামের প্রায় ২৫০ জন ছেলে-মেয়েদের নিয়ে অশোকনগর বাইগাছি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ১০০ এবং ২০০ মিটার দৌড়, হাই জাম্প, লং জাম্প, ছোটদের জন্য আলু দৌড় —সবই ছিল প্রতিযোগিতায়। এই অনুষ্ঠানের এক উদ্যোক্তা ডাব্লিউ সিং বলেন, “আমাদের এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য শিশু মনের বিকাশ ঘটানো। আমরা চাই শিশুরা আবার মাঠে ফিরুক। খোলা আকাশের নীচে তারা আবার খেলাধুলো করুক।’’ এলাকার তরুণদের এই উদ্যোগে খুশি অভিভাবকরাও। এক অভিভাবক অনুমিতা বাড়ুই বলেন, ‘‘ছেলেমেয়েদের মাঠে খেলতেও হবে আবার পড়তেও হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইও করতে হবে।’’