ভাগ্নির সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রোফাইলে পোস্ট করেছিলেন এক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। সেই ছবি ডাউনলোড করে তাঁকে ও তাঁর ভাগ্নির সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য এবং গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে এলাকারই কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে সাইবার ক্রাইমে মামলা রুজু হয়েছে প্রায় দু’মাস আগে। কিন্তু এখনও অনেকেই ধরা পড়েনি। সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘মামলায় মূল অভিযুক্ত কাকদ্বীপ আদালত থেকে জামিন নিয়েছে। তদন্ত চলছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি পাথরপ্রতিমা থানা এলাকার। ওই কিশোরীর মামা একটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। মাস কয়েক আগে অন্য গ্রাম থেকে ছুটি কাটাতে এসে মামার স্কুলে কিছু দিন কোচিং ক্লাস করছিল একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। সে সময়ে ভাগ্নির সঙ্গে নিজের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন মামা। ওই ছবি নিয়েই কুকীর্তি ঘটায় কিছু যুবক। ওই প্রধান শিক্ষকের কথায়, ‘‘এখনও পর্যন্ত একজনও গ্রেফতার হয়নি। আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে বলে খুবই মানসিক কষ্টের মধ্যে রয়েছি।’’
কিন্তু হঠাৎ স্থানীয় যুবকেরা এই কাজ করল কেন?
স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্ত এক যুবকের স্ত্রী ওই স্কুলের মিড ডে মিলের দায়িত্বে ছিলেন। ফেসবুক কাণ্ডের কিছু দিন আগে তাঁর সঙ্গে আনাজ ও চাল নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। যদিও মূল অভিযুক্তের স্ত্রী এখন আর ওই স্কুলে কাজ করেন না। অন্য যুবকেরা ওই অভিযুক্তেরই বন্ধু বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই জামিন নিয়েছেন। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে পুলিশ এলাকায় যায়নি বলেই জানা গিয়েছে। মূল অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।