গঙ্গাঘাট পল্লিতে নদীবাঁধ ভেঙে ঢুকছে জল। নিজস্ব চিত্র
ইয়াসের ধাক্কা কাটতে না কাটতে রবিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি এবং জলস্ফীতির কারণে ফের ভাঙল মণি নদীর বাঁধ। পাথরপ্রতিমার কুঁয়েমুড়ির গঙ্গাঘাট পল্লিতে মাটির নদীবাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ভেঙে গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। সেই ভাঙা অংশ দিয়ে জল ঢুকেছে এলাকায়। তার জেরে স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কিত বাসিন্দারা। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে নতুন করে বাঁধ মেরামতি চালাচ্ছে সেচ দপ্তর। কিন্তু নদী কানায় কানায় পূর্ণ থাকায় বেগ পেতে হচ্ছে সেচ দফতরের কর্মীদের। নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় রবিবার রাতে জোয়ারের সময় ফের বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
ইয়াস এবং পূর্ণিমার কটালের জেরে সুন্দরবন এবং উপকূল এলাকার মতো বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল পাথরপ্রতিমার বিস্তীর্ণ এলাকা। এলাকা থেকে জল নেমে যাওয়ার পর সেচ দফতরের উদ্যোগে বাঁধ মেরামতিও শুরু হয়। কিন্তু রবিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টির জেরে নদীর জলস্তর বাড়াতে থাকে। এর জেরে কুঁয়েমুড়ির মণি নদীর কাঁচা বাঁধ নিমেষে ভেঙে পড়ে। পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা বলেন, ‘‘ইয়াসের আগেই দুর্গত এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ফ্লাড সেন্টারে। বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় সব ধরনের ব্যবস্থাও নিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার মুখে আবার বাঁধ ভেঙে গেল। দ্রুত বাঁধ মেরামতি করছে সেচ দফতর।’’
কানায় কানায় পূর্ণ মণি নদী। নিজস্ব চিত্র
রবিবারই ডায়মন্ড হারবারের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসক পি উলগাথন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ডায়মন্ড হারবারে বেশ কয়েকটি জায়গায় হুগলি নদীর বাঁধ ভেঙে অথবা বাঁধ উপচে প্লাবিত হয়েছিল বেশ কিছু এলাকা। বাঁধ মেরামতির কাজ কতটা এগিয়েছে তা খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক।