ঘরের মধ্যে ফণা তুলে গোখরো-কেউটে, উদ্ধার ১৭টি ডিম

কেউ কেউ বলে, বিষধর সাপের সঙ্গে এক ঘরে থাকা মানে মৃত্যুকে ডেকে আনা। মেরে ফেলতে বলেন কেউ কেউ। কিন্তু এমন সাপ আজ যে আজ বিলুপ্তির পথে, সে কথা সকলকে বোঝান দেবদাস। বলেন, ‘‘সাপ না মেরে আমরা নিজেরা ঘরের বাইরে কাটাই। বন দফতরে খবর দিই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৯ ০৫:৩৮
Share:

অবশেষে: বহু কসরতে বাগে এল সে। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

ডিম আগলে ঘরের মধ্যে ফণা তুলে ঘুরছিল একটি গোখরো, একটি কেউটে সাপ। ভয় পেলেও তাদের না মেরে বন দফতরকে খবর দিলেন গৃহস্থ। একটি সাপ ধরা পড়েছে। উদ্ধার হয়েছে ১৭টি ডিম।

Advertisement

শুক্রবার দেগঙ্গার পদ্মরাজ পাড়ার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবদাস মণ্ডলের পরিবার বৃহস্পতিবারই জানতে পারেন, শোওয়ার ঘরের মধ্যে সাপ বাসা বেঁধেছে। বিশাল বড় একটি সাপকে দেখতেও পায় বাড়ির বাচ্চারা। কেউ কেউ বলে, বিষধর সাপের সঙ্গে এক ঘরে থাকা মানে মৃত্যুকে ডেকে আনা। মেরে ফেলতে বলেন কেউ কেউ। কিন্তু এমন সাপ আজ যে আজ বিলুপ্তির পথে, সে কথা সকলকে বোঝান দেবদাস। বলেন, ‘‘সাপ না মেরে আমরা নিজেরা ঘরের বাইরে কাটাই। বন দফতরে খবর দিই।’’

শুক্রবার দুপুরে বারাসত থেকে বন দফতরের কর্মীরা এসে ১৭টি ডিম ও একটি কেউটেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। অন্য সাপটিকে অবশ্য অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেলেনি। বারাসত বন দফতরের রেঞ্জ অফিসার সুকুমার দাস বলেন, ‘‘সাপটি না মেরে দেগঙ্গার এই পরিবার পরিবেশবান্ধব মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রাণী হত্যা না করে এ ভাবে সকলে এগিয়ে এলেই রাজ্যের জীবজন্তু সংরক্ষণ করা সহজ হবে।’’ পাশাপাশি তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া সাপের ডিম সল্টলেকের সরকারি বনভূমিতে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই ডিম থেকে প্রজনন করা হবে। এ দিন বন দফতরের কর্মীদের সঙ্গে সাপ ধরার জন্য হাত লাগিয়েছিলেন দেগঙ্গার ঝাঁপা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামিউল আলম। তিনি বলেন, ‘‘আমাজনে বিধ্বংসী আগুনে লক্ষাধিক প্রাণীর মৃত্যু নিয়ে প্রতিবাদ গড়ে উঠেছে। আমাদের এলাকাতেও জীব জগতের ভারসাম্য ঠিক রাখতে এই ধরনের সাপদের না মেরে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement