এখান থেকেই কাটা হয় পলি। ছবি: নির্মল বসু
দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে চুরি হচ্ছে নদীর পলি। হাড়োয়া থানার কুলটি এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, এই এলাকায় বিদ্যাধরী নদীর পলি অবৈধ ভাবে কেটে ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, নদীর বাঁধের গা ঘেঁষে তৈরি হয়েছে পলিমাটির খাদান। জোয়ারের সময়ে বিশেষ পদ্ধতিতে বাঁধ কেটে জল ঢুকিয়ে সেখানে পলি সঞ্চয় করা হচ্ছে। পরে প্রয়োজন মতো সেই খাদান থেকে পলি কেটে ট্রাকে করে পাচার করা হচ্ছে বিভিন্ন ভাটায়।
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, খাদানে কাজ করছেন কয়েক জন শ্রমিক। তাঁদেরই এক জন বলেন, “খাদানের মালিকের নাম জানি না। আমাকে পলি মাটি কেটে ট্রাকে ভর্তি করার জন্য ডাকা হয়েছে।” শ্রমিকদের দাবি, তাঁরা পেটের দায়ে মজুরির বিনিময়ে কাজ করেন। কারবার কারা চালায়, তা জানেন না।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের মদতেই এ ভাবে অবাধে মাটি চুরি চলছে। বসিরহাট দলের সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিদ্যাধরী নদী থেকে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে নদীর পলিমাটি চুরি হচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশের মদতেই এই কাজ চলছে। অবিলম্বে মাটি চুরি বন্ধ না হলে আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব।”
কুলটি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মঙ্গলি সর্দার অবশ্য বলেন, “মাটি কাটার কোনও অভিযোগ আমাকে কেউ করেননি। তবে সত্যিই যদি নদী থেকে পলিমাটি কাটা হয়, তা অবৈধ। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মাটি কাটার সঙ্গে যুক্ত এক ব্যবসায়ীর দাবি, প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই পলিমাটি কাটা হচ্ছে।
হাড়োয়া ভূমি ও ভূমি দফতরের পক্ষে অবশ্য জানানো হয়েছে, নদী থেকে পলিমাটি কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। মাটি কাটার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।