ক্রমশ ছোট হয়ে আসা সেই পিকনিক স্পট। ছবি: দিলীপ নস্কর
নদীর ভাঙনে তলিয়ে যেতে বসেছে ফলতা পিকনিক স্পট। এখন প্রায় বাঁধে ঠেকতে বসেছে জায়গাটি। এক সময়ে জনপ্রিয় এই চড়ুইভাতির স্থান
জৌলুস হারাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন অনেকেই।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে ফলতার নদীবাঁধের সামনে ৩০০-৪০০ ফুট চওড়া চর ছিল। সেই চরে শীতের মরসুমে পিকনিক দলের আনাগোনা লেগে থাকত। প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা নদীঘেঁষা মনোরম পরিবেশে জমে উঠত শীতের সারা দিন। কিন্তু ওই পিকনিক স্পটে নদীর ভাঙনের ফলে চর ৪০-৫০ ফুটে এসে ঠেকেছে। ফলে ভিড় হলে জায়গা কম পড়ে। তা ছাড়া, পিকনিক করার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামোরও যথেষ্ট অভাব আছে। পানীয় জল ও শৌচালয়ের সমস্যার কথা জানান পর্যটকেরা।
কলকাতার বাসিন্দা সেবক দেবনাথ সম্প্রতি ওই স্পটে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “নদীর ধারে মনোরম পরিবেশে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এর আগেও আমরা এসেছি এখানে। কিন্তু পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত পরিষেবা মেলে না।” স্পট ঘিরে ছোটখাটো দোকানপাট আছে। এক ব্যবসায়ী জানালেন, আগে অনেকটা দূর পর্যন্ত ছিল চর। কিন্তু নদীর পাড় ক্ষয়ে এখন সামান্য অংশ পড়ে রয়েছে। এ ভাবে চলতে থাকলে আর কয়েক বছরের মধ্যে নদীর গ্রাসে তলিয়ে যাবে গোটা পিকনিক স্পটটাই। আর এক ব্যবসায়ীর দাবি, আগে অনেক মানুষ পিকনিক করতে আসতেন। খারাপ পরিকাঠামোর জন্য দিন দিন সংখ্যা কম। অবিলম্বে প্রশাসন থেকে নদীবাঁধ তৈরির ব্যবস্থা করলে তবেই স্পট রক্ষা পাবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জাহাঙ্গির খান বলেন, “ওই জায়গাটিকে বাঁচানোর জন্য সেচ দফতর ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বাকি সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধান করে দেওয়া হবে।”