ভিড় বাড়তে পারে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি চলছে সাগর মেলায়

পুণ্যার্থীদের পরিষেবা দিতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

দিলীপ নস্কর 

গঙ্গাসাগর শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৮
Share:

মেলার জন্য জিনিসপত্র বোঝাই গাড়ি আসছে বার্জে। নীচে, তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ী বাসস্থান। নিজস্ব চিত্র

৭ জানুয়ারি সাগরের গঙ্গাসাগর মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। তার মধ্যে পুণ্যার্থীদের পরিষেবা দিতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার কুম্ভমেলা নেই। তাই গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়বে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘এ বছর কুম্ভমেলা নেই। তাই সাগর মেলায় প্রায় ২৫ লক্ষ পুণ্যার্থী আসতে পারেন, এই ধরে নিয়েই পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। যে সমস্ত সরকারি কর্মীরা কাজে আসেন, তাঁদের পরিষেবার বিষয়েও নজর দেওয়া হবে।’’

এ বার পুণ্যার্থীদের মুড়িগঙ্গা নদী পারাপারের জন্য কাকদ্বীপের লট ৮ ঘাটের কাছে দু’টি স্থায়ী ঘাটের পাশাপাশি আরও তিনটি অস্থায়ী ঘাট তৈরি করা হয়েছে। উল্টো দিকে সাগরের কচুবেড়িয়া পয়েন্টে ৫টি ঘাট রয়েছে।

Advertisement

চেমাগুড়ি পয়েন্টে ৫টি, বেনুবন পয়েন্টে ২টি ঘাট তৈরি হয়েছে। গত বছর শৌচালয় তিন হাজার তৈরি করা হয়েছিল। এ বছর প্রায় সাড়ে ৪ হাজার করা হয়েছে। এ ছাড়াও থাকছে ২৫টি মোবাইল শৌচালয়। সমুদ্র স্নান করার পরে মহিলাদের কাপড় বদলানোর জন্য অস্থায়ী তাঁবু গত বছর ১৫টি করা হয়েছিল। এ বারে তা বেড়ে ২০টি করা হয়েছে।

দিন কয়েক ধরে মেলা চলার সময়ে আবর্জনা সরাতে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁরা সর্বক্ষণ ২০টি সাইকেল ভ্যান ও ৩৫টি ছোট গাড়ি নিয়ে মেলা চত্বর চক্কর দেবে। এ ছাড়া, সারা মেলা এলাকায় প্রায় ১ হাজার ডাস্টবিন থাকবে। ওই ডাস্টবিনে জমা জঞ্জাল দ্রুত সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা রয়েছে।

পুণ্যার্থীদের পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য কচুবেড়িয়া পয়েন্ট ও সাগর মেলা পয়েন্টে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সরবরাহ জল মেশিনের সাহায্যে পাউচ তৈরি করা হবে। ভিনরাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীদের থাকার জন্য বেনুবন ও চিমাগুড়ি পয়েন্টে লোহার কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সাগর মেলা পয়েন্ট ৫টি, কচুবেড়িয়া পয়েন্টে ৩টি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ওই এক একটি ছাউনিতে প্রায় আড়াই হাজার পুণ্যার্থী আশ্রয় নিতে পারবেন। গঙ্গাসাগর পয়েন্টে হোগলপাতার ছাউনিতে ২০০টি, চিমাগুড়ি পয়েন্টে ৩০টি ও কচুবেড়িয়া পয়েন্টে ২৫টি ছাউনি থাকছে।

মেলার সহায়তায় অ্যাপসের মাধ্যমে মেলার খুঁটিনাটি জানা যাবে। তা-ও এ বছর প্রথম করা হয়েছে। মেলার জন্য অতিরিক্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলায় ঢোকার প্রায় ১০ কিলোমিটার আগে থেকে নানা থিমের উপর আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকছে। সমস্ত দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। কিন্তু পাশাপাশি স্থানীয় গঙ্গাসাগর বকখালি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, পূর্ত দফতর, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরও মেলার পরিকাঠামোর কাজ করছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement