ক্যানিংয়ে। নিজস্ব চিত্র
সবে ভোরের আলো ফুটেছে। ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপছিল এক শিশু। দেখতে পেয়ে এগিয়ে যান রেলকর্মীরা। গরম দুধ, বিস্কুট খাইয়ে কিছুটা সুস্থ করা হয় শিশুটিকে। কিন্তু নাম-ঠিকানা জানতে চাইলে বলতে পারেনি সে। পরে বোঝা যায়, শিশুটি মূক-বধির।
বুধবার ভোরে ওই শিশুকে ক্যানিং স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রেলপুলিশ শিশুটিকে সোনারপুর জিআরপিতে নিয়ে যায়। রেলপুলিশ জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে ওই শিশুটি বারুইপুরের একটি হোম থেকে নিখোঁজ ছিল। তার নাম আসরাফুল আলি। তাকে হোম কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর সাতেকের আসরাফুল বারুইপুরের সীতাকুণ্ডর কাছে একটি হোমে থাকত। সেখান থেকে সে দিন কয়েক আগে নিখোঁজ হয়। কোনও ভাবে ক্যানিং স্টেশনে চলে আসে। রেলকর্মীরা জানান, ঠান্ডায় কাঁপছিল শিশুটি। তারা শুশ্রূষা করার চেষ্টা করেন।
রেলপুলিশ জানিয়েছে, ওই শিশুটি দিন কয়েক আগে বারুইপুরের ওই হোম থেকে নিখোঁজ ছিল। বারুইপুরের ওই হোম কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে না পেয়ে গত শনিবার বারুইপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল। কী ভাবে বারুইপুরের ওই হোম থেকে শিশুটি নিখোঁজ হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হোমের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির তরফ থেকে শিশুটিকে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। শিশুটি কোনও ভাবে পালিয়ে যায়। আমরা তাকে খুঁজে না পেয়ে বারুইপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলাম।’’