—প্রতীকী চিত্র।
আবার ভাঙড়ে উত্তেজনা। এ বার আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল নওশাদ সিদ্দিকির বিধানসভা এলাকায়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের জিরানগাছা এলাকায়। এ নিয়ে তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। দুই পক্ষই একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আক্রান্তের নাম আক্রম মোল্লা। জিরানগাছির বাসিন্দা আক্রম আগে নওশাদ সিদ্দিকির দল আইএসএফের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তবে সম্প্রতি তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এ নিয়েই শুরু গন্ডগোল। আক্রাম জান, কয়েক দিন আগে তিনি তৃণমূলে যোগদান করার পর থেকে হুমকি আসা শুরু হয়। তাঁর উপর মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এর পর সোমবার রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন আইএসএফের কয়েক জন কর্মী। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। সোমবার রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল। মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান তৃণমূল নেতৃত্ব।
আহত আক্রম এখন জিরানগাছা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূলের অভিযোগ, ভাঙড় জুড়ে এই ভাবে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে আইএসএফ। যদিও সব অভিযোগই নস্যাৎ করেছে নওশাদের দল। উল্টে ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা রাইনুর হক বলেন, ‘‘তৃণমূলের বাইক বাহিনী এসে আইএসএফ কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। কয়েক জন মহিলা ও পুরুষ যাঁরা আইএসএফের কর্মী, তাঁরা আহত হয়েছেন। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব যেন উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়।’’ অন্য দিকে, কাকদ্বীপেও তৃণমূল এবং আইএসএফের সংঘর্ষের খবর মিলেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় এক নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ। সেখানে তৃণমূল এবং আইএসএফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ।