মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, গড়িয়ার বাসিন্দা সুরজিৎ ওরফে সাহেব সর্দারকে গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।
পুলিশি হেফাজতে বন্দি মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানায়৷ ওই ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের কাছে নরেন্দ্রপুর থানা এবং তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, গড়িয়ার বাসিন্দা সুরজিৎ ওরফে সাহেব সর্দারকে গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। যদিও পুলিশের নথিতে ১৪ এপ্রিল গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগেও ছিনতাইয়ের অভিযোগ ছিল বিভিন্ন থানায়। একাধিক বার তিনি গ্রেফতারও হন।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২০ এপ্রিল থানার লক আপে অসুস্থ বোধ করেন সাহেব। প্রথমে তাঁকে সোনারপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে সাহেবকে কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। শনিবার দেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানায় পুলিশ। অন্য দিকে, মৃতের পরিবারের অভিযোগ, জেলবন্দি সাহেবকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
মৃতের দাদা সুব্রত সর্দারের অভিযোগ, ‘‘আমাদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়। দু’দফায় মোট ২০ হাজার টাকা দিয়েছি পুলিশকে। কিন্তু আরও টাকা চাওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।’’ তিনি এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন। ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘নরেন্দ্রপুর থানা অন্যায়ের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করেছে। এই ঘটনার ন্যায্য বিচার পেতে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তও চাইব।’’
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার মিস পুষ্পা জানান, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।