—প্রতীকী ছবি।
রাস্তার কাজ শুরু হয়েছিল। শেষ হয়নি। কবে শেষ হবে তা জানা নেই স্থানীয় পঞ্চায়েতেরও। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রের খবর, বিশপুর শিরিষতলা থেকে বিশপুর শ্মশানঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার পিচ রাস্তার দাবি ছিল দীর্ঘদিন ধরে। ঠিক হয়, ওই রাস্তা ঢালাই হবে। বছর দুই আগে রাস্তার উদ্বোধন হয়। তারপর শুরু হয় টালবাহানা। বেশ কিছুদিন পরে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়। তবে দেড় কিলোমিটার রাস্তা ঢালাই হওয়া পর ফের থমকে গিয়েছে কাজ। বাকি রাস্তা বেহাল। স্থানীয় বাসিন্দা মনোজ ঘোষ, বিপ্লব দাস, নকুল ঘোষ বলেন, ‘‘বর্ষার সময়ে রাস্তা বেহাল হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়েছিল। এখন সেই গর্তগুলো বন্ধ করা হলেও গোটা রাস্তার যা হাল হেঁটে বা সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করা যায় না।” এই রাস্তার শুরু এবং শেষের যে অংশে ঢালাই এখনও হয়নি সেখানে ইটের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। লকডাউন ঘোষণার শুরু থেকে বন্ধ রাস্তার কাজ। এই রাস্তার পাশেই আছে বিশপুর পঞ্চায়েত, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পোস্ট অফিস। এই পথ দিয়েই হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক অফিসে যাতায়াত করেন বহু মানুষ।
বিশপুর পঞ্চায়েতের দাবি, এই রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করতে একাধিকবার ঠিকাদার সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে ঠিকাদার সংস্থা কাজ শুরু হবে বলে বারবার শুধু আশ্বাস দিচ্ছে। অসম্পূর্ণ রাস্তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
স্থানীয় সিপিএম নেতা অতনু মণ্ডল বলেন, “মানুষের স্বার্থের থেকে তোলাবাজি বড় হয়ে গেলে রাস্তার কাজ এভাবেই ঝুলে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে ঠিকাদারদের রফার সমস্যা হচ্ছে তাই রাস্তার কাজ এভাবে বন্ধ হয়ে আছে।” তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সইদুল শেখ বলেন, “রাস্তা নিয়ে কোনও তোলাবাজি হয়নি।’’