খানাখন্দ পথে দুর্ভোগ কুলপিতে

মোটর বাইকে করে আত্মীয়ের বাড়িতে আসছিলেন এক বৃদ্ধা। চালক সামলে চললেও মাঝে মধ্যেই রাস্তায় গর্তে পড়ে যাচ্ছিল মোটরবাইকের চাকা। আর্তনাদ করে উঠছিলেন বৃদ্ধা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কুলপি শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০০:১৫
Share:

বেহাল রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।

মোটর বাইকে করে আত্মীয়ের বাড়িতে আসছিলেন এক বৃদ্ধা। চালক সামলে চললেও মাঝে মধ্যেই রাস্তায় গর্তে পড়ে যাচ্ছিল মোটরবাইকের চাকা। আর্তনাদ করে উঠছিলেন বৃদ্ধা।

Advertisement

ঘটনাস্থল কুলপির নিশ্চিন্তপুর থেকে জুমাই লস্কর মোড় পর্যন্ত রাস্তা। খন্দে ভরা এই রাস্তা দিয়ে এখন যাতায়াত করাই দায়। মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা।

প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ কিলোমিটার। আগে ওই রাস্তাটি ইট পাতা ছিল। বছর দশেক আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার আওতায় রাস্তাটি পিচ করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে কোনও সংস্কার হয়নি। বেশিরভাগ জায়গায় পিচ উঠে গিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা ডোবার চেহারা নেয়। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতি দিন অটো, মোটরভ্যান এবং ছোট গাড়ি চলাচল করে। রাস্তাটি ব্যবহার করেন নেতাজি, রবীন্দ্র, বাবুরমহল, কেওড়াতলা, বাপুজি পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ। যাতায়াত করেন বহু স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়া। রাস্তা খারাপ হওয়ায় গাড়ির গতি কম থাকছে। এই রাস্তা দিয়েই কাকদ্বীপ মহকুমা অফিস বা ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে যেতে হয়। রোগীদের এই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে নাভিশ্বাস ওঠে।

Advertisement

কুলপির বিডিও রাজীব সেন বলেন, ‘‘আমার কাছে রাস্তা সংস্কারের জন্য অনেক অনুরোধ এসেছে। কিন্তু টাকা না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না। সাংসদ কিংবা বিধায়ক তহবিলের টাকার অনুমোদন পেলে কাজ করা যেতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement