অবরোধ: মাটিয়ার টাকি রোডে। ছবি: নির্মল বসুa
দিন কয়েক আগেও মদের দোকান বন্ধের জন্য রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মহিলারা। এ বার তাঁদের সঙ্গে যোগ দিলেন এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব।
বুধবার সকাল ১১টায় দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে বসিরহাটের মাটিয়ায় টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘণ্টা খানেক পর পুলিশ ওই মদের দোকান বন্ধের আশ্বাস দিলে শান্ত হন বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের মাটিয়াতে দু’টি দেশি ও একটি বিদেশি মদের দোকান চলছিল। সম্প্রতি আরও একটি মদের দোকান শুরু হওয়ার কথা হয়। তাতেই গ্রামের মহিলারা প্রতিবাদ করেন। তাঁরা একটি নাগরিক মঞ্চও গঠন করেন। একই এলাকায় তিনটি মদের দোকান খোলায় জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি দোকান বন্ধ হলেও টাকি রোডের পাশে একটি মদের দোকান খোলা ছিল। ওই দোকানটিও বন্ধ করতে হবে বলে এ দিন সকালে পোস্টার নিয়ে নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা টাকি রাস্তা অবরোধ করেন। দলীয় পতাকা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। ওই বিক্ষোভে সামিল ছিলেন বসিরহাট উত্তর বিধানসভার পুরপ্রধান এটিএম আবদুল্লা রনি, শ্রীনগর-মাটিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রেমেন্দ্র মল্লিক, ধান্যকুড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রমোদ সরকার-সহ প্রমুখ। এ বিষয়ে এটিএম আব্দুল্লা রনি, প্রেমেন্দ্রবাবুরা বলেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য পরিবেশের উন্নতি করা। বেআইনি ভাবে মদের দোকান খোলা রাখা বরদাস্ত করা হবে না।’’
অবরোধের ফলে টাকি রোড বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। এ দিকে বিক্ষোভকারীদের দেখে মদের দোকানের মালিক দোকান বন্ধ করে দেন। জনতার একাংশ ওই দোকানে হামলা চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।
ওই মদের দোকানের মালিক তপনকুমার সাহা বলেন, ‘‘সরকারি অনুমোদন নিয়ে ১৯১৯ সালে এই দোকান খোলা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায় বের হওয়ার পর গত মার্চে লাইসেন্স নবিকরণ করতে দিয়েছি। তা এখনও হাতে পায়নি।’’ অভিযোগ, তপনবাবুর বাড়িতে ঢিল মারা হচ্ছে। রাস্তায় দেখলে তাঁকে গালিগালাজ করা হচ্ছে। এমনকী বাড়ির মহিলাদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আসলে সরকার থেকে বন্ধের কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। সে কারণে তিনি দোকান বন্ধ করছেন না।’’
নাগরিক মঞ্চের তৈয়ব মহম্মদ আমানুল্লা, শম্ভু বিশ্বাস, বেবি সরকার, কল্পনা মণ্ডলরা বলেন, ‘‘আমরা চাই এলাকাতে একটিও মদের দোকান যেন না থাকে। মদ্যপ দুষ্কৃতীদের উপদ্রবে সন্ধ্যার পর মহিলারা বাইরে বেরোতে পারেন না।’’ এই আন্দোলন চলবে বলে জানান তাঁরা।