River

গোসাবায় নদীবাঁধে ধস

বুধবার রাতের জোয়ারে গোসাবার রাঙাবেলিয়া পঞ্চায়েতের একাধিক জায়গায় বিদ্যাধরী ও গোমর নদীর বাঁধে ধস নেমেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোসাবা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২০ ০৩:৪৯
Share:

নদীবাঁধ মেরামত চলছে রাঙাবেলিয়ায়। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা

অমাবস্যার কটালের জলে বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল না ঢুকলেও কার্যত গত দু'দিনে গোসাবা ব্লকের বেশ কয়েকটি জায়গায় নদী বাঁধে ধস নেমেছে। দ্রত গতিতে মেরামতির কাজ শুরু হলেও নদীবাঁধের দশা নিয়ে চিন্তিত এলাকাবাসী।

Advertisement

বুধবার রাতের জোয়ারে গোসাবার রাঙাবেলিয়া পঞ্চায়েতের একাধিক জায়গায় বিদ্যাধরী ও গোমর নদীর বাঁধে ধস নেমেছে। ধস নেমেছে কুমিরমারি গ্রামের রায়মঙ্গল নদীর বাঁধেও। এ ছাড়া, পাখিরালয়, কচুখালি, কালিদাসপুর এলাকাতেও নদী বাঁধে ধস নেমেছে। প্রশাসনের দাবি মরা কটাল শুরু হওয়ায় বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢোকার আশঙ্কা কম। তবে আগামী ভরা কটালে জল বাড়লে বিপদ হতে পারে। আর সেই আশঙ্কা করে ইতিমধ্যেই যে সমস্ত এলাকায় বাঁধে ধস নেমেছে, সেখানে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। কোথাও গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে নদী বাঁধ মেরামতি করা হচ্ছে। কোথাও সেচ দফতর এই মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছে।

গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন, “এই কটালে কোথাও বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল না ঢুকলেও অনেক জায়গাতেই বাঁধের খারাপ অবস্থা। বিশেষ করে রাঙাবেলিয়া এলাকায় নদী বাঁধ বেহাল। এই কটালে রক্ষা পেলেও আগামী কটালে বিপদ বাড়তে পারে। তাই গোসাবা বিধানসভার অন্তর্গত ১৪টি পঞ্চায়েতের প্রধান ও সেচ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বুধবার বৈঠক করে দ্রুত বাঁধ মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র বলেন, “আমপানে গোসাবা ব্লকের অনেক জায়গাতেই বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে সেই সব এলাকায় বাঁধ মেরামতি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু নতুন করে কটালের জলস্ফীতিতে বেশ কয়েক জায়গায় আবারও ধস নেমেছে। তবে বাঁধ সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়ে গ্রামে জল ঢোকেনি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement