প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ভরা বর্ষার মরসুমে আগামী দিনে ভারী বর্ষণ হলে বিভিন্ন রাস্তা প্লাবিত হতে পারে বলেইআশঙ্কা উত্তর দমদম পুরসভার বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাদের। কারণ, ওই সমস্ত এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান অপেক্ষাকৃত নিচু জমির উপরে। সেই সঙ্গে বহু বছর ধরে সেখানে নিকাশি ব্যবস্থার কোনও রকম সংস্কার বা আধুনিকীকরণ হয়নি।যদিও পুরকর্তাদের একাংশ বলছেন, সার্বিক ভাবে নিকাশি পরিকাঠামোর উন্নয়নের কাজ চলছে। সেই কাজ সম্পূর্ণ হলে জল জমার সমস্যা অনেকটাই কমবে।
এক পুরকর্তা বললেন, ‘‘বর্তমান পুর বোর্ড নিকাশির উন্নয়নে বিশেষ জোর দিচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই মতো ইতিমধ্যেই খাল ও নালার সংস্কার, নতুন নর্দমা তৈরি-সহ একাধিক কাজ করা হয়েছে। একাধিক নিচুএলাকায় জল জমার সমস্যা মেটাতে বড় নর্দমা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই কাজ শেষ হলে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, বিরাটি স্টেশন সংলগ্ন একাধিক এলাকা, যেমন ২, ৩, ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভৌগোলিক অবস্থান বেশ কিছুটা নিচু জমিতে। সেখানেপুরসভা প্রাথমিক ভাবে নিকাশি পরিকাঠামোর কাজ করেছে। কিন্তু সেখানে জল জমার সমস্যা পুরোপুরি কমেনি। তাই এ বার দীর্ঘমেয়াদি কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছে। যারঅংশ হিসাবে ওই সমস্ত এলাকার জন্য দু’টি বড় নর্দমা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাজা রামমোহন পথ, দেবীনগর, প্রতিরক্ষা নগর-সহ একাধিক এলাকায় জল জমার সমস্যা তীব্র। আগে বৃষ্টির জমা জল সরে যেতে বেশ কিছুদিন লাগত। বর্তমানে ভোগান্তিরমাত্রা কিছুটা কমলেও সমস্যামেটেনি। জমা জলের মধ্যে দিয়েইস্কুল, কলেজ, অফিস ও দৈনন্দিনকাজে যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। এর পাশাপাশি, খোলা নর্দমার মধ্যে আবর্জনা-সহ বিভিন্ন সামগ্রী ফেলার প্রবণতা সমস্যাবাড়িয়ে তুলছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই পুর এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান নিচুতে। তাই রাস্তায় জল জমারসমস্যা দীর্ঘদিনের। সমস্যা মেটাতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তার কয়েকটি পর্যায়ের কাজ হয়েছে। আশা করা যায়, তাতে সমস্যাকিছুটা কমবে। তবে, বেশ কিছু নিচু এলাকায় সমস্যা মেটেনি। সেখানেও সমস্যা মেটাতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সেই কাজ হবে। সব কাজ হয়ে গেলে সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।’’