গাছ লাগানোর কাজ চলছে। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য কাটা হয়েছিল গাছ। তা দেখে সোচ্চার হন সাধারণ মানুষ। অবিলম্বে গাছ লাগানোর দাবিতে রাস্তায় নামলে দুষ্কৃতীরা হেনস্থা করেছিলেন তাঁদের বলে অভিযোগ। তবুও আন্দোলন বন্ধ হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রশাসন থেকে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করল। বেড়াচাঁপা-হাড়োয়ার সাড়ে দশ কিলোমিটার রাস্তায় লাগানো হচ্ছে মেহগনি, লম্বু, আম, কদম, পেয়ারা গাছ।
জেলা পুর্ত দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা থেকে হাড়োয়া যাওয়ার সাড়ে দশ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। তা সংস্কারের দাবি তুলে একাধিকবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। অবশেষে সেই রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি সম্প্রসারণে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। জেলা পূর্ত ও সড়ক দফতরের এক আধিকারিক নাজিমুল ইসলাম বলেন, ‘‘এই রাস্তা মেরামতের জন্য প্রায় ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই রাস্তা ২৩ ফুট চওড়া, দু’ধারে আড়াই ফুট করে পাঁচ ফুট ফুটপাথ এবং বাজার এলাকায় ৫ ফুট করে নিকাশিনালা করা হচ্ছে। তার জন্য কিছু গাছ কেটে ফেলতে হয়েছিল। এখন তা ফের লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’
ওই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ করতে গিয়ে কাটতে হয়েছিল ৩৪৭টি গাছ। রাস্তার কাজ শেষ হতেই ওই রাস্তার পাশে বসানো হচ্ছে ১৭০০টি গাছ। জেলা বন দফতর জানিয়েছে, ১৭০০টি চারা গাছ লাগোনো এবং আগামী তিন বছর তা দেখভাল করার জন্য ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। হাড়োয়ার পিলখানা, মোটাআল, রামনগর, হামাদামা, হাড়োয়া রেলগেট এবং হাদিপুর এলাকায় রাস্তার দু’ধারে বসানো হচ্ছে চারা গাছ। মশারি নেট দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ চলছে।
এ দিন কুতুবউদ্দিন মণ্ডল, নরেশ বসু, বিজলি দাস জানান, রাস্তা তৈরির কাজ এবং রাস্তার পাশে গাছ লাগানোয় তাঁরা খুশি। তবে বেড়াচাঁপা বাজার সংলগ্ন একশো মিটার রাস্তার কাজ থমকে থাকায় ভিড় ও যানজট হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ হয়রান হচ্ছেন। এ দিকটাও প্রশাসন দেখুক।