ব্যস্ততা: তখন চলছে উদ্ধার কাজ। নিজস্ব চিত্র
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে উদ্ধার কাজ নিয়ে মহড়া হয়ে গেল সমুদ্র উপকূলবর্তী বকখালিতে।
দেখা গেল, রাস্তা উপরে লম্বা হয়ে শুয়ে রয়েছেন এক যুবক। গায়ের উপরে গাছের ডালপালা। তাঁকে উদ্ধার করতে ব্যাটারিচালিত করাত দিয়ে ডাল কাটা শুরু হল। মিনিট কয়েক ধরে ডালপালা কেটে যুবককে উদ্ধার করে মাথায় জড়ানো হল ব্যান্ডেজ। স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুল্যান্স তোলা হল।
সুনামির মতো বড় প্রাকৃতিক বিপর্য়য় ঘটলে কী ভাবে মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব, কী ভাবে দ্রুত উদ্ধারের কাজ শুরু করা সম্ভব— সে সব নিয়েই ছিল মহড়া। দক্ষিণণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও নামখানা পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনায় বুধবার বকখালি সমুদ্র সৈকতে দিনভর চলেছে কর্মসূচি।
অগ্নিকাণ্ড ঘটলে দমকল কর্মীরা কী ভাবে তার মোকাবিলা করবে, সেই মহড়াও হয়েছে এ দিন। মহড়া পরিচালনায় জেলা প্রশাসন ছাড়াও ছিল উপকূল রক্ষীবাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও কলকাতা পুলিশের একটি দল। বকখালির পর্যটকেরাও মহড়া দেখতে ভিড় করেন। আশেপাশের গ্রামের মানুষের ভিড়ও উপচে পড়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা রমা কামিলা, শম্পা জানারা বলেন, ‘‘আয়লার সময়ে দেখেছিলাম, কী ভাবে নিমেষের মধ্যে জলের তোড় সব ওলটপালট হয়ে যায়। তাই কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেই আমরা ভয়ে ভয়ে থাকি। নিজেরা কী ভাবে তার মোকাবিলা করতে পারি, তা এখানে মহড়ায় দেখলাম।’’ এলাকার বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদ সদস্য শ্রীমন্ত মালি বলেন, ‘‘এলাকায় কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে কী ভাবে মানুষ তা কাটিয়ে উঠবেন, তারই প্রশিক্ষণ শিবির হল।
উপকূল রক্ষী বাহিনীর আধিকারিক অভিজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘সুনামির মতো বড় দুর্যোগ হঠাৎ এসে গেলে কী ভাবে নিজের প্রাণ বাঁচাতে হবে এবং অন্যকে সাহায্যে করতে হবে, তা নিয়ে কয়েকটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তা ছাড়া, বকখালি পিকনিক স্পট, জনবহুল এলাকা। সকলকে সচেতন করতে এই শিবিরের আয়োজন। এ দিন সন্দেশখালি ১ ব্লকের বেতনী নদী সংলগ্ন এলাকাতেও এ ধরনের মহড়া হয়েছে।