Mamata Banerjee

মমতার সভায় গরহাজির রতন, জল্পনা কর্মাধ্যক্ষের পদে ইস্তফা ঘিরে

এ দিন বনগাঁয় মুখ্যমন্ত্রীর সভাতেও হাজির ছিলেন  না তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৪৪
Share:

রতন ঘোষ

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধক্ষ্যের পদ থেকে পদত্যাগ করে বুধবার জেলাশাসককে চিঠি দিলেন রতন ঘোষ। এ দিন বনগাঁয় মুখ্যমন্ত্রীর সভাতেও হাজির ছিলেন না তিনি।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ১৯৯৮ সালে তৃণমূল দল প্রতিষ্ঠার পর বনগাঁ মহকুমায় মমতা সভা করেছেন, অথচ রতন অনুপস্থিত, এমন ঘটনা মনে করতে পারছেন না তৃণমূল কর্মীরা। এ পরিস্থিতিতে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি রতন দল ছাড়ছেন?

রতনের কথায়, ‘‘সময় মতো আমার মতামত জানাব। তবে এখনই আমি অন্য কোনও দলে যোগদান করছি না। তবে তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছি।’’

Advertisement

এ বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘এটা ওঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে আমার কিছু বলাই নেই।’’

তৃণমূল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই রতন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে। তৃণমূল দল প্রতিষ্ঠার হওয়ার পর যাঁদের হাত ধরে তৃণমূল বনগাঁর শক্তিশালী হয়েছিলেন, তার মধ্যে প্রথম সারিতে ছিলেন বর্তমানে জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি রতন। আগে জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতির পদ সামলেছেন। সে সময় তিনি বারাসতে একটি বিশাল সভার আয়োজন করেন। যা কর্মীরা আজও মনে রেখেছেন। বাম আমলে বনগাঁয় তৃণমূলের আন্দোলনের মুখ ছিলেন তিনি। আন্দোলন করতে গিয়ে জেলও খাটেন।

রতনের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু বছর ধরেই দলে তাঁর গুরুত্ব কমছে বলে মনে করেন তিনি। জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি হলেও তাঁকে পদের যোগ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছিল না। বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে দলের জেলা সভাপতির সঙ্গেও তাঁর দূরত্ব বাড়ছিল। বিশেষ করে বনগাঁয় দল পরিচালনা নিয়ে মতপার্থক্যের কথা শোনা যায় দলের অন্দরে।

সূত্রের খবর তৃণমূলের পদত্যাগী মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রতনের অনেক দিনের সুসম্পর্ক। শুভেন্দুর সঙ্গে দলের দূরত্ব বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সভায় গরহাজির থেকে জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন রতন।

জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কেন রতনদা সভায় গেলেন না, সে বিষয়ে না জেনে কিছু বলতে পারব না।’’

বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে রতনবাবু দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। বিশ্বজিৎ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক নষ্ট হয়নি। বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘রতনদা বিজেপিতে আসতে চাইলে দল গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement