রাস্তার এই অংশেই ছাত্রীকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ— নিজস্ব চিত্র।
নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে রাস্তায় একা পেয়ে মুখে কাপড় জড়িয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। ডায়মন্ড হারবারের হরিণডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যার ওই ঘটনার জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বুধবার এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু তিন দিন কেটে গেলেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ওই ছাত্রীর পরিবার চাইল্ড লাইনেরও দ্বারস্থ হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ বছরের ওই কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রী। সপ্তাহে বেশ কয়েকদিন টিউশনি পড়ে সাইকেল নিয়ে বাড়িতে ফেরত সে ছাত্রী। মঙ্গলবারও সন্ধে নাগাদ টিউশন পড়ে বাড়িতে ফিরছিল সে। বাহাদুরপুর এলাকায় হঠাৎ এক ব্যক্তি এগিয়ে এসে তার সাইকেল চেপে ধরায় সে পড়ে যায়। মাথায় টুপি ও মুখে মাস্ক থাকায় অন্ধকারের মধ্যে নিগ্রহকারীকে চিনতে পারেনি ছাত্রী।
অভিযোগ, ওই ব্যক্তি ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাড়িতে ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে ছাত্রীর ঠাকুমাও কিছুটা পর এগিয়ে যান। রাস্তার মাঝে ছাত্রীর সাইকেল পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। ছাত্রীর নাম ধরে ডাকতে থাকেন তিনি। তাঁর আওয়াজ পেয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নির্যাতিতার পরিবার। ভয়ে বাড়ির বাইরে বের হতে পারছে না ছাত্রী।
ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ অবশ্য নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ খারিজ করেছে। জেলার এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভগবানপুর থেকে হরিণডাঙা পর্যন্ত রাস্তার প্রায় অধিকাংশ জায়গাতেই আলো নেই। ইদানিং সন্ধে নামলে রাস্তার পাশে ভিড় জমায় কিছু অপরিচিত যুবক। মদ ও গাঁজার আসর বসে নিত্যদিন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের বিষয়টি জানিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ।