খন্দপথে বাড়ছে বিপদ।

খানাখন্দে ভরা রাস্তা, বাড়ছে দুর্ঘটনা

মোটর ভ্যানে চেপে বাড়ি যাচ্ছিলেন এক বৃদ্ধা। রাস্তায় গর্তে বার বার পড়ে যাচ্ছিল চাকা। যন্ত্রণায় ককিয়ে উঠে মাঝপথে বাধ্য হয়ে নেমে গেলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মগরাহাট শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৬ ০১:২৬
Share:

টাল সামলে...। ছবি: দিলীপ নস্কর।

মোটর ভ্যানে চেপে বাড়ি যাচ্ছিলেন এক বৃদ্ধা। রাস্তায় গর্তে বার বার পড়ে যাচ্ছিল চাকা। যন্ত্রণায় ককিয়ে উঠে মাঝপথে বাধ্য হয়ে নেমে গেলেন তিনি।

Advertisement

এই ছবি কোনও ব্যতিক্রম নয়। মগরাহাট-২ ব্লকের চাকদা মোড় থেকে মেস্তাখালি পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় তৈরি হওয়া প্রায় ১৭ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। উঠে গিয়েছে পিচ। বছর চারেক ধরে এমনই অবস্থা এই রাস্তাটির। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে জল জমে রাস্তা ডোবার আকার নেয়! মাঝে মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তা দিয়ে নৈনান, আমড়াতলা, মোহনপুর, জুলপিয়া-সহ কয়েকটি পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ নির্ভরশীল। ওই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করেন স্কুল, কলেজের পড়ুয়ারা। মোহনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মগরাহাট গ্রামীণ হাসপাতালে যেতে হলেও এই রাস্তা ব্যবহার করতে হয়।

ওই রাস্তা দিয়ে অটো, মোটর ভ্যান-সহ অন্যান্য গাড়ি চলাচল করে। খারাপ রাস্তার কারণে কম সময়েই খারাপ হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। অটো চালক মেহেবুব শেখ, ইসলাম মল্লিক, অমর সিপাইদের ক্ষোভ, ‘‘বেহাল রাস্তায় গাড়ি চালালে গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। যাতায়াতে সময় বেশি লাগছে। যাত্রীরা রেগে যাচ্ছেন।’’

Advertisement

ওই এলাকার মোহনপুর পঞ্চায়েতের উপ প্রধান আলমগির মোল্লার অভিযোগ, রাস্তাটি কয়েক বছর ধরেই বেহাল। বিষয়টি ব্লক থেকে জেলা—প্রশাসনের সব স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তা না হওয়ায় ওই এলাকায় গেলেই ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে।’’

মগরাহাট-২ পঞ্চায়েতে সমিতির সহ সভাপতি খইরুল হক লস্কর বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’’ তাঁর সংযোজন, শুধু ওই রাস্তা নয়, আরও কয়েকটি রাস্তার সংস্কারের দরকার রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement