ভোগান্তি: মঠেরদিঘি ব্লক হাসপাতালে ভ্যাকসিনের জন্য লাইন। নিজস্ব চিত্র।
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে বিভিন্ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ব্লক হাসপাতাল। জলমগ্ন বহু এলাকাও। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণশিবিরে। এই পরিস্থিতিতে বিঘ্নিত হচ্ছে করোনার টিকাকরণ।
এমনই পরিস্থিতি ক্যানিং ২ ব্লক এলাকায়। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন ক্যানিং ২ ব্লকের সারেঙ্গাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, দেউলি ১, ২, কালিকাতলা-সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। মঠেরদিঘি ব্লক হাসপাতালও জলমগ্ন। টিকাকরণের জন্য বিশেষ শিবিরও করা যাচ্ছে না এই পরিস্থিতিতে। মঠেরদিঘি ও খুঁচিতলা ব্লক হাসপাতাল থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
ব্লক প্রশাসন ও ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং ২ ব্লক এলাকায় জনসংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৮২ হাজার। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রথম ডোজ় ভ্যাকসিন পেয়েছেন ২৫ শতাংশ মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ় ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১৫ শতাংশ মানুষ। অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ় ভ্যাকসিনের জন্য মঠেরদিঘি ও খু্ঁচিতলা ব্লক হাসপাতালে সকাল থেকে জলের মধ্যে লাইন দিচ্ছেন। কেউ কেউ ভ্যাকসিনের জন্য বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাঁটুসমান জল পেরিয়ে আসছেন।
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, ‘‘ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন থাকায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মানুষ বাঁচার জন্য বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসছেন। এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট জলমগ্ন। যাতায়াত ব্যবস্থার সমস্যা তৈরি হয়েছে। সে কারণে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে।’’
ক্যানিং ২ বিডিও প্রণব মণ্ডলের কথায়, ‘‘পোলিয়ো টিকাকরণের জন্য কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু মঠেরদিঘি ও খুঁচিতলা হাসপাতাল থেকে করোনা টিকাকরণ হয়েছে।’’
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হরিপদ মাঝি জানান, ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘স্লট’ ভাগ করে বিভিন্ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ব্লক হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। প্রবল বৃষ্টি ও পালস্ পোলিয়োর কাজের জন্য কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়।