—প্রতীকী চিত্র।
ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে গোসাবার চার নম্বর কচুখালি গ্রামে। এই অত্যাচারের ভিডিয়ো মঙ্গলবার থেকে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয় (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে গোসাবা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শত্রুঘ্ন সিংহ ও ঠাকুরপদ মাঝি নামে দুই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বিদ্যুতের খুঁটির গায়ে পিছমোড়া করে হাত বেঁধে লাঠি দিয়ে যখন পেটানো হচ্ছিল ওই মহিলাকে, তখন গোসাবা থানার সিভিক ভলান্টিয়ারদের কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু উদ্ধারের জন্য কোনও পদক্ষেপ করেননি। একটানা মার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। এক পুলিশকর্মী এই ঘটনার কথা জানতে পেরে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করান। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ওই নার্সিংহোম ছেড়ে চলে যান অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা।
এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে সব মহলে। স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনজীবী দীপক হালদার বলেন, “যে ভাবে নি মানুষ আইন নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছেন তা সমাজের জন্য যথেষ্ট খারাপ বার্তা।’’ সমাজকর্মী সজনী রায় বলেন, “একজন মানুষকে দেখে ছেলেধরা বলে পিটিয়ে দিলেই হল? এ বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রশাসনকে।”
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই মহিলার খোঁজ চলছে। ওঁর চিকিৎসার প্রয়োজন। যে সিভিক ভলান্টিয়াররা ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হবে।’’