—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভেঙেচুরে বেহাল অবস্থায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভবন। নিয়মিত আসেন না কর্মীরা। ওই ভবনের সংস্কার ও মিড-ডে মিলের দাবিতে বুধবার সেখানে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। বারাসত দু’নম্বর ব্লকের কীর্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়িবাড়ির মুদিয়া কায়পুত্র পাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, নামেই এটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। পানীয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগ, শৌচালয়— কিছুই নেই। শুধু তা-ই নয়, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হয়নি ওই ভবনটিরও। ছাদের চাঙড় ধসে পড়ায় বেরিয়ে রয়েছে লোহার রড। কোথাও ফেটে গিয়ে ফুলে আছে ছাদের নীচের অংশ। যে কোনও সময়ে খসে পড়তে পারে চাঙড়। ওই সমস্ত ঘরে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ছোট ছোট শিশুরা পড়াশোনা করে। তাই উৎকণ্ঠায় থাকেন অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা নিয়মিত আসেন না বলে মাসের বেশির ভাগ দিনই বন্ধ থাকে কেন্দ্রটি। সময় মতো এসেও ফিরে যেতে হয় মিড-ডে মিল রান্নার সহায়ক ও শিশুদের। অভিভাবকদের দাবি, রান্না হলেও শিশুরা তা খেতে পারে না। খারাপ মানের চাল ও ডাল ঠিক মতো সেদ্ধ করেন না সহায়ক। তেল-নুনের পরিমাণও ঠিক থাকে না। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে বিষয়টি বার বার জানানো হলেও পদক্ষেপ করেনি তারা।
এ দিন ভবনের সংস্কার ও নিয়মিত রান্না করা ভাল খাবারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়ককে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও তাঁরা উত্তর দেননি। এক অভিভাবক ভুলো মণ্ডল বললেন, ‘‘ভবনটির ভগ্ন দশা দ্রুত মেরামত করা দরকার। শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খিচুড়ি রান্না করা হোক।’’ আর এক অভিভাবক পূজা মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘দিদিমণি নিয়মিত আসেন না। মিটিং ও শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে মাসের ১৫ দিনই কেন্দ্রটি বন্ধ রাখেন।’’ আর এক অভিভাবক সুমনা মণ্ডলের কথায়, ‘‘রান্না ও খাবারের মান খুব খারাপ। শুধু সাদা ভাত আর দু’চার টুকরো আলু দেওয়া হয়। ডালও রান্না হয় না। ওই খাবার শিশুরা খেতে পারে না।’’
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘শিক্ষিকাকে একাধিক বার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তিনি শোনেননি। পঞ্চায়েত-প্রধান ও বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানানো হবে। ভবন সংস্কারের ব্যবস্থাও করা হবে।’’ এ বিষয়ে বারাসত-২ ব্লকের চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসারকে ফোন এবং মেসেজ করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি।