প্রতীকী ছবি।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী শুরু হয়েছে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা কাজ। কিন্তু প্রযুক্তিগত কারণে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শুরুতেই সেই কাজ হোঁচট খেল। শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে কাজ শুরু করা যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন জেলাশাসক পি উলগানাথন।
কোথায় কী ভাবে সংযুক্তিকরণের কাজ হবে, তা নিয়ে কিছু দিন ধরে বিভ্রান্তি ছিল মানুষের। প্রথমে বলা হয়েছিল, রেশন ডিলারদের কাছে রেশন কার্ড ও আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দিলে তাঁরাই এ কাজ করে দেবেন। সেই মতো মানুষজন রেশন দোকানে কাগজপত্র জমা দেন। অভিযোগ, এরই সুযোগে কিছু রেশন ডিলার নিয়মবহির্ভূত ভাবে ৫০-১০০ টাকা করে নেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে অনেক ডিলার আবার কাগজপত্র ফেরত দিয়ে জানিয়ে দেন, তাঁরা লিঙ্ক করতে পারছেন না। এ ক্ষেত্রে কোনও সাইবার কাফে বা তথ্যমিত্র কেন্দ্রে গিয়ে লিঙ্ক করানোর কথা বলা হয়। সাইবার ক্যাফে গ্রাহকদের থেকে অতিরিক্ত টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। জেলার ফুড কন্ট্রোলার পৃথা সাহা রায় অবশ্য বলেন, ‘‘রেশন ডিলাররা টাকা নিয়ে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করিয়ে দিচ্ছেন বলে কোনও অভিযোগ পাইনি। তা ছাড়া, রেশন ডিলাররা এই কাজটা ঠিকমতো করতে পারছিলেন না বলেই সরকার একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিঙ্ক করানোর জন্য।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ জুন খাদ্য দফতর এক নির্দেশিকায় জানায়, রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করাতে হবে। এ জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। আধার কার্ড লিঙ্ক করানোর সময়ে গ্রাহকের আঙুলের ছাপ লাগবে। এই কাজে ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত খাদ্য দফতরকে সহযোগিতা করবে।১ জুলাই থেকেই বাড়ি বাড়ি শুরু হওয়ার কথা ছিল কাজ। কিন্তু দু’দিন ধরে তা হয়নি। গত তিন-চারদিন ধরে রেশনের দোকান, সাইবার ক্যাফেতে ঘুরছেন রহিমা বিবি, তাহের মোল্লা। তাঁরা বলেন, ‘‘রেশনে মাল তুলতে গেলে সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক করার জন্য। সেই মতো তাঁরা কাগজপত্র চান। টাকাও চান। পরে রেশন দোকান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় অনলাইনে গিয়ে লিঙ্ক করানোর কথা।’’ প্রশাসন কবে বাড়ি এসে কাজ করাবে, সেই অপেক্ষায় আছেন তাঁরা। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০ জুলাই পর্যন্ত প্রতিটি বাড়িতে খাদ্য দফতরের কর্মীরা যাবেন। ২০-৩১ জুলাই পর্যন্ত আবারও দফতরের কর্মীরা যাবেন এই কাজে। ১-১৪ অগস্ট বিভিন্ন স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আধার লিঙ্ক করানোর ক্যাম্প করা হবে। ১৬-৩১ অগস্ট প্রতিটি পঞ্চায়েতে ক্যাম্প করা হবে। ১-৪ সেপ্টেম্বর গ্রামে ক্যাম্প হবে।