অ্যাপ্রোচ রোডের মাপ কমিয়ে সমস্যা মিটল বাদুড়িয়ায়

বহু টালবাহানার পরে মিটল অ্যাপ্রোচ রোডের সমস্যা। ইছামতী নদীর উপরে বাদুড়িয়ার অ্যাপ্রোচ রোডের চওড়া কমিয়ে সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭ ০৩:১৪
Share:

অপেক্ষা: এই সেতুর পাশেই তৈরি হবে রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।

বহু টালবাহানার পরে মিটল অ্যাপ্রোচ রোডের সমস্যা।

Advertisement

ইছামতী নদীর উপরে বাদুড়িয়ার অ্যাপ্রোচ রোডের চওড়া কমিয়ে সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। বাদুড়িয়ার পুরপ্রধান তুষার সিংহ জানান, বাদুড়িয়ায় অ্যাপ্রোচ রোডের জন্য রাস্তার দু’পাশে বেশ কিছু ঘর-বাড়ি এবং দোকান ভাঙা পড়ার কথা ছিল। বাড়ির মালিক ও ব্যবসায়ীরা আপত্তি জানিয়েছিলেন। রাস্তা ২০ মিটার চওড়া করার কথা ছিল। কিন্তু এ বার সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাস্তা ১২ মিটার চওড়া হবে। এতে দোকান ও বাড়ি তুলনায় কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুক্রবার রাজ্য এবং জেলা পর্যায়ের একটি দল রাস্তাটি পরিদর্শনে এসে সে বিষয়টিই মাপজোক করে গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

ইছামতীর উপরে সেতু হলে জুড়ে যাবে বাদুড়িয়ার দু’পাড়ের মানুষ। বাদুড়িয়ার এক পাড়ে আছে পুরসভা, থানা, বিডিও, বিএলআরও, বিদ্যুৎ, যুবকল্যাণ, ব্লক প্রাণি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল-সহ বহু সরকারি-বেসরকারি দফতর। রয়েছে হাট-বাজার। ফলে মানুষকে নিত্য প্রয়োজনে সেখানে যাতায়াত করতেই হয়।

Advertisement

রাস্তা দিয়ে এই জায়গায় পৌঁছতে গেলে ২০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। যা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষও। নৌকো করে পারাপার করা যায় ঠিকই। কিন্তু বর্ষার সময়ে নদীপথে পারাপার বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। অসুস্থ মানুষকে নৌকো করে নিয়ে যাওয়া সে সময় দুঃসাধ্য। তা ছাড়া, কোনও গণ্ডগোল হলে এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে পুলিশের পৌঁছতেও দেরি হয়। নৌকোয় করে সময় মতো বাজারে ফসল নিয়ে পৌঁছনো যায় না বলে চাষিদের অভিযোগ। ফলে অর্থিক ক্ষতি হয়। গাড়ি ভাড়া করে অনেকটা পথ পার করে আনাজ নিয়ে যেতে হয়। এ সব কারণে বাদুড়িয়ার মানুষের দীর্ঘ দিনের চাহিদা ছিল লক্ষ্মীকান্তপুরে ইছামতীর উপরে একটি সেতুর।

২০১০ সালে বাদুড়িয়ার লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামে রাজ্যের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত, পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী এবং জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মন্ত্রী গৌতম দেবের উপস্থিতিতে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সেতুর শিলান্যাস করা হয়। পূর্ত ও সড়ক দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে টেন্ডার হওয়ার পর জমি পেয়ে সেতুর কাজ শুরু করতে আরও এক বছর লেগে যায়। ফলে তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষের কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা হয়নি। এরপরে ২০১৬ সালে ৪১০ মিটার লম্বা এবং ফুটপাত-সহ ১১ মিটার চওড়া সেতুর কাজ শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে।

সেতুর কাজের সঙ্গে যুক্ত ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, সেতুর সামান্য অংশ বাকি আছে। তা তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে। এরপরে বাদুড়িয়ার দিকের অ্যাপ্রোচ রোডটিই বাকি থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement