জলের জোগান বাড়ছে, চলছে অনশনও

দ্রুত শুনানির দাবিতে গত কয়েক দিন ধরেই সেখানে অনশন শুরু করেছিলেন দেড়শোর বেশি বন্দি। তাঁরা সকলেই পকসো মামলায় অভিযুক্ত। বুধবার সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে পঞ্চাশের আশপাশে। এই পরিস্থিতির মাঝে বারুইপুরে জলের সমস্যার সমাধান করতে চলেছে কারা দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩০
Share:

বারুইপুর সেন্ট্রাল জেলের বন্দিরাই প্রথম ম্যাট্রেস পেতে পারেন।—ফাইল চিত্র।

সংখ্যায় কম হলেও বন্দিদের অনশন অব্যাহত বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে।

Advertisement

দ্রুত শুনানির দাবিতে গত কয়েক দিন ধরেই সেখানে অনশন শুরু করেছিলেন দেড়শোর বেশি বন্দি। তাঁরা সকলেই পকসো মামলায় অভিযুক্ত। বুধবার সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে পঞ্চাশের আশপাশে। এই পরিস্থিতির মাঝে বারুইপুরে জলের সমস্যার সমাধান করতে চলেছে কারা দফতর। বর্তমানে সেখানে জলাধারের জল ধারণক্ষমতা দু’হাজার লিটার। কিন্তু সেই জল অপর্যাপ্ত বলে বারবার দাবি করছিলেন বন্দিরা। ফলে এ বার জলাধারের ধারণক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ করতে চলেছে কারা দফতর। কিছু দিনের মধ্যেই ওই বাড়তি জল বারুইপুরের বন্দিরা পাবেন বলেই কারা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।।

এত দিন বারুইপুরে একটিই অ্যাম্বুল্যান্স ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে অনশনের কারণে বন্দিদের মধ্যে বেশ কয়েক জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই কারণে সংশোধনাগারে বাড়তি আরও দু’টি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করছে কারা দফতর। কোনও বন্দি অসুস্থ হলে ওই অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, সংশোধনাগারের মধ্যে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বারুইপুর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি বদল হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কারা দফতর।

Advertisement

মঙ্গলবার সংশোধনাগারে গিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিচারক রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। সেখানে গিয়ে তিনি অনশনরত বন্দিদের সঙ্গে কথাও বলেন। আপাতত সেখানে বন্দি স্থানান্তর প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে। তবে চলতি মাসের মধ্যেই আলিপুর খালি হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement