Fuel Price Hike

Fuel Price hike: একশো ছুঁল ডিজ়েল, বিপাকে বাস মালিক-চাষি

ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে কেরোসিন মিশিয়ে বাস, অটো, টোটো চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২২ ০৬:০৪
Share:

দুশ্চিন্তা: কী ভাবে ভরবে ট্যাঙ্ক। নিজস্ব চিত্র।

পেট্রল ১০০ ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। মধ্যবিত্তের উদ্বেগ বাড়িয়ে এ বার ডিজ়েলও ১০০-র গণ্ডি পেরিয়ে গেল। এই পরিস্থিতিতে গাড়ি, ভ্যান, যন্ত্রচালিত নৌকো চালকেরা পড়লেন ফাঁপরে। চাষবাস করেন যাঁরা, তাঁদেরও মাথায় হাত।

Advertisement

বুধবার বসিরহাটে ডিজ়েলের দাম দাঁড়িয়েছে ১০০.৪০ টাকা প্রতি লিটার। পেট্রলের দাম ১১৫.৭৩ টাকা প্রতি লিটার। কী ভাবে এই ধাক্কা সামাল দেবেন, ভেবে পাচ্ছেন না বসিরহাট, মিনাখাঁ, বাদুড়িয়া, হিঙ্গলগঞ্জ-সহ বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন রুটের কয়েকশো বাস মালিক। এক বাস মালিক জানান, আগে স্বরূপনগর থেকে বারাসত যেতে হলে তেলের খরচ ছিল আনুমানিক ৩ হাজার টাকা। এখন তা বেডে ৪ হাজার টাকা হয়েছে। কিন্তু ভাড়া না বাড়ায় লোকসানের অঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে কেরোসিন মিশিয়ে বাস, অটো, টোটো চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে বুঝেও এ কাজ করতে তাঁরা বাধ্য বলে জানালেন বাস মালিকদের একাংশ। জাকিরউদ্দিন সর্দার নামে এক চালক বলেন,‘‘অনেকেই ডিজ়েলের সঙ্গে কেরোসিন মেশাচ্ছে। এর ফলে গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে। তবে কেরোসিনের দামও বেড়েছে। কী ভাবে সব দিক সামাল দেওয়া হবে, জানি না।’’ ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরাও। জমিতে জল দেওয়ার জন্য পাম্প মেশিন চালানোর খরচ জোগাড় করতে হিমশিম দশা তাঁদের।

সম্প্রতি কেরোসিন ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮২ টাকা হয়েছে। প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, মিনাখাঁর বিভিন্ন জায়গায় কেরোসিন দিয়ে যন্ত্রচালিত নৌকো চালানো হয়। কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির ফলে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন।

Advertisement

সিদ্ধেশ্বর দাস নামে এক নৌকো মালিকের কথায়, ‘‘আগে বালির নৌকোয় ২ টাকার কেরোসিন লাগত। এখনও তিন টাকারও বেশি লাগছে। অথচ বালির দাম বাড়িয়ে দিলে কেউ আর তা কিনতে চাইছেন না। তাই বাধ্য হয়ে নৌকো বন্ধ রাখতে হয়েছে।’’

বাদুড়িয়ার চাষি ওহাব গাজি বলেন, ‘‘জলের প্রয়োজন মেটাতে মোটরের সাহায্যে মাটির তলা থেকে জল তুলতে হয়। বর্তমানে যে ভাবে ডিজ়েল ও কেরোসিনের দাম বাড়ছে, তাতে পাম্প চালানোর খরচ উঠছে না। খরচ সামাল দিতে পারছেন না কৃষকেরা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement