প্রতীকী ছবি।
উত্তর ২৪ পরগনা এক সময়ে ছিল বামেদের শক্তঘাঁটি। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে সে গৌরব অনেকটাই তলানিতে। আসন্ন বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস, সিদ্দিকদের সঙ্গে জোট তৈরির বাতাবরণকে সামনে রেখে নতুন ভাবে ঘর গোছাতে মরিয়া বামেরা। আমপান, লকডাউন পব থেকেই নিয়মিত নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জনসংযোগের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশকে সামনে রেখে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় নিজেদের সংগঠনকে আরও মজবুত করার কাজ চলছে। এ জন্য বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ যৌথ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জেলা সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিগেড সমাবেশকে সামনে রেখে জেলা জুড়ে সাংগঠনিক স্তরে নিয়মিত বৈঠক, দেওয়াল লিখন, মিছিল, মিটিং, পথসভা, সাইকেল-বাইক মিছিল, অটো-টোটোয় অডিয়ো প্রচার চলছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য, জেলা থেকে এক লক্ষ মানুষকে ব্রিগেডের সমাবেশে নিয়ে যাওয়া। গাড়ি ভাড়া করা হচ্ছে। ট্রেনেও মানুষ সমাবেশে যাবেন।’’ জেলা সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের পক্ষ থেকে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার বনগাঁ ও বসিরহাট থেকে যে একটি ট্রেন বারাসত পর্যন্ত যায়, সেটি শিয়ালদহ পর্যন্ত চালানোর জন্য। রবিবার নৈহাটি থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত চলা যে দু’টি ট্রেন বন্ধ থাকে, সে দু’টি ট্রেন চালানোরও অনুরোধ করা হয়েছে। জেলা সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষ আবেদনগুলি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিবেচনা করছেন। মৃণাল বলেন, ‘‘সমাবেশের প্রস্তুতিতে জোটের পক্ষে মানুষের মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে। আইএসএফ যোগ দেওয়ায় বাড়তি উৎসাহ এসেছে। প্রস্তুতি পর্বে দেখেছি, যে সব ছাত্র-যুবদের আগে দেখা যায়নি, তাঁরাই এগিয়ে এসে দায়িত্ব নিচ্ছেন।’’ বাদুড়িয়া, স্বরূপনগর, বসিরহাট, গোবরডাঙা, হাবড়া,বনগাঁ, অশোকনগর, বারাসত-সহ জেলার বেশিরভাগ জায়গায় বাম-কংগ্রেসের যৌথ বড় জনসভা হয়েছে। জমায়েতের সংখ্যা জোট নেতৃত্বকে আশা দেখাচ্ছে। কংগ্রেস যেখানে দুর্বল, সেখানে বামদলগুলি বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিলি করছে। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি (গ্রামীণ) অমিত মজুমদার বলেন, ‘‘যৌথ কর্মসূচির পাশাপাশি নিজেরাও মিটিং-মিছিল করছি। প্রস্তুতি পর্বে পুরনো এবং বসে যাওয়া কর্মীরা ফিরে আসছেন। আমরাও দলের পক্ষ থেকে পুরনো কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে পারছি।’’