প্রতিবাদ: হাড়োয়ায়। নিজস্ব চিত্র
কোন নেতা কোন প্রকল্পে কার কাছ থেকে কত টাকা কাটমানি তুলেছিলেন, সেই তালিকা লিখে পোস্টার সাঁটিয়েছিলেন গ্রামের মানুষ। টাকা ফেরত দেওয়ার সময়সীমাও বেঁধে দেন। সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত এক তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বহু মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে হাড়োয়ার খাসবালান্দ পঞ্চায়েতের রায়খাঁ গ্রামের মণ্ডলপাড়ায়।
পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে তৃণমূল নেতা দীনেশচন্দ্র মণ্ডলের বাড়ি ঘিরে পোস্টার, ব্যানার হাতে বিক্ষোভ দেখান অনেকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীনেশ ও তাঁর এক আত্মীয়-সহ দুই তৃণমূল নেতা বিভিন্ন প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি নিয়েছেন। কখনও বাড়ি তৈরির টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। কখনও শৌচালয় তৈরির টাকার বখরা নেওয়া হয়েছে। জব কার্ড পাইয়ে দেওয়ার নাম করেও টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামের বহু মানুষের। স্থানীয় বাসিন্দা সুমিতা বাছাড় বলেন, ‘‘ঘরের টাকা পাইয়ে দেবে বলে ১৫ হাজার দাবি করে। গরিব মানুষ, তাই কিছু দিয়েছিলাম। এখন পনেরো হাজার টাকাই কাটমানি দিতে হবে বলে দাবি করছে। সেই টাকা দিতে না পারায় সরকারি প্রকল্পে ঘরের টাকা আটকে দিয়ে দীনেশ হুমকি দিচ্ছে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে।’’ অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে দীনেশ বলেন, ‘‘টাকা নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা যে টাকা নিয়েছি বলা হচ্ছে, তার প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমাদের সুনাম নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে বিজেপি চক্রান্ত শুরু করেছে।’’
জেলা পরিষদ সদস্য তথা তৃণমূল নেতা সঞ্জু বিশ্বাস অবশ্য বলেন, ‘‘দলের দু’জনের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ জানিয়েছেন গ্রামের মানুষ। অভিযোগ সত্যি হলে দল ব্যবস্থা নেবে।’’ অন্য দিকে, আমডাঙার সাধনপুর পঞ্চায়েতের রায়পুর গ্রামের কিছু মানুষের অভিযোগ, কাটমানি নিয়েছিলেন পঞ্চায়েতের জবকার্ড সুপারভাইজার তথা তৃণমূল নেতা সামসুদ্দিন লস্কর। সেই টাকা ফেরতের দাবিতে বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন সামসুদ্দিন।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।