—ফাইল চিত্র
‘দাদার অনুগামী’দের পোস্টার এ বার ডায়মন্ড হারবারেও। সঙ্গে ছবি, তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদারের।
শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক পদ ছাড়ার দিনই এই ঘটনায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে এলাকায়। দলের সঙ্গে বিধায়কের সম্পর্কও দীর্ঘ দিন ধরে তলানিতে বলে তৃণমূলেরই একটি সূত্র জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ঘটনা বাড়তি মাত্রা পেয়েছে।
বহু দিন ধরেই কোনও সরকারি- বেসরকারি অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে না বিধায়ককে। দলীয় সভা-সমিতিতেও কার্যত কোণঠাসা হয়ে আছেন বলেই জানাচ্ছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। যুব তৃণূল নেতাদেরই দাপট সর্বত্র। অথচ তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে এক সময়ে প্রথম সারিতে ছিলেন দীপক। দু’বার তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। নিয়ম করে এখনও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁর অফিস খোলা থাকে।
বুধবার তাঁর কেন্দ্রের নানা এলাকায় পোস্টার পড়েছে। তাতে লেখা, ‘পদ নয় পতাকা, তৈরি আছে জনতা। তোমার প্রতি দুর্ব্যবহারের জবাব দিতে ডায়মন্ড হারবারের মানুষ তৈরি আছে।’ সঙ্গে লেখা, ‘সৌজন্যে, আমরা দাদার অনুগামী।’
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নিজের অনুযোগ গোপন করছেন না দীপক। বললেন, ‘‘২০১৬ সালের পর থেকেই আমাকে কোণঠাসা করে রাখা হয়। আমি নাকি চোর, চিটিংবাজ, তোলাবাজ মানুষের সঙ্গে মিশি না। দলের জন্য কাজ করি না। আমাকে হঠাৎ করে সমস্ত সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হল। অথচ ডায়মন্ড হারবারের মানুষ আমাকে ভালবাসেন। তাঁরা অনুভব করেছেন, আমার উপরে দিনের পর দিন অত্যাচার হচ্ছে। তাই তাঁরা আবেগের বশে এমন লিখেছেন।’’ পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওঁরা ঠিক করেননি। সকলের কাছে আবেদন, এ ধরনের পোস্টার না লিখতে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়া নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘দুঃখজনক ঘটনা।’’ আপনি কি বিজেপিতে যাচ্ছেন? বিধায়কের সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘‘কোনও মন্তব্য করব না।’’
এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার ১ ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি গৌতম অধিকারীর বক্তব্য, ‘‘বিধায়ক ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রে দলের সভাপতি। দলের যে কোনও কর্মসূচি নেওয়ার দায়িত্ব ওঁর। আমরা যুব তৃণমূলের দায়িত্বে আছি। প্রত্যেকে তাঁর নিজের দায়িত্ব পালন করবেন।’’