—প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ ওঠায় প্রৌঢ়কে থানায় ধরে এনেছিল পুলিশ। গ্রেফতারও করা হয়েছিল তাঁকে। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন সেই প্রৌঢ়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে। এই ঘটনায় বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাসকে তদন্তের নির্দেশ দিলেন বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার মিস পুষ্পা। তিনি জানান, তদন্তের রিপোর্ট জমা পড়লে তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সঞ্জীব সাঁপুই (৫৫)। তাঁর বাড়ি বকুলতলা থানা এলাকার নিমপীঠে। সঞ্জীবের স্ত্রী অনিতা স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তিনি জয়নগরের জয়চণ্ডীতলায় একটি ভাড়া বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে থাকেন। সেখানে এসে তাঁদের মারধর করেছেন সঞ্জীব। এই অভিযোগ পেয়েই সঞ্জীবকে গ্রেফতার করা হয় রবিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতারের পর সঞ্জীবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারী অফিসারের ঘরে (আইও রুম) নিয়ে আসা হয়। কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্য কাজে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তদন্তকারী অফিসার। সেই ফাঁকে তরল জাতীয় কিছু খেয়ে ফেলেন সঞ্জীব। ভোর ৫টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় ওই ঘরে কেউ ছিলেন না। জানাজানি হতেই তাঁকে প্রথমে নিমপীঠ হাসপাতাল, পরে সেখান থেকে বারুইপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেও অবস্থার অবনতি ঘটলে সঞ্জীবকে নিয়ে যাওয়া হয় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। রবিবার সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সঞ্জীব পেশায় ভ্যানচালক। স্ত্রীর বিবাববহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহের বশে প্রায়ই পরিবারে গন্ডগোল বাধত। স্ত্রীকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়ারও অভিযোগ রয়েছে সঞ্জীবের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, হেফাজতে থাকাকালীন অ্যাসিড খেয়ে ফেলেছেন সঞ্জীব। যদিও ময়নাতদন্তেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।