লকডাউন সফল করতে পুলিশি তৎপরতা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
এ বার ছ’দিন পূর্ণ লকডা রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। চলবে শুক্রবার পর্যন্ত রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রশাসক শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কী ভাবে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে আমরা ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। সেখানেই সর্বসম্মতি ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল পূর্ণ লকডাউন করা হবে পুরসভা এলাকায়।"
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন শুরুর দিনেই বনগাঁ শহরে দুই মহিলা-সহ তিনজন বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হলেন। শঙ্কর বলেন, ‘‘তিনজনের রিপোর্ট রবিবার এসেছে। সকলেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বনগাঁ শহরে রবিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২১ জন।’’
বনগাঁ ব্লক এলাকায় এ দিনই সাত বছরের একটি মেয়ে সহ দু’জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বনগাঁর বিএমওএইচ মৃগাঙ্ক সাহা রায় বলেন, "করোনায় আক্রান্ত দু'জনের মধ্যে একটি একটি সাত বছরের মেয়ে রয়েছে। তার ঠাকুমা আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি সুস্থ আছেন। অন্যজন এক পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি মহারাষ্ট্র থেকে এসেছিলেন।’’ ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের বাড়ি কালুপুর এবং গোপালনগর ১ পঞ্চায়েত এলাকায়।
বনগাঁ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সংক্রমণ ঠেকাতে কয়েক দিন আগে পুরসভা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহরের বাজারগুলি সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খুলে রাখা হয়। রাত ৮টার পরে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করা হয়। তারপরেও মানুষ সচেতন না হওয়ার এ বার পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার ভোর থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত মানুষ লকডাউন উপেক্ষা করেই বাজারে বেরিয়ে পড়ছিলেন। পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করে। এরপরেই মানুষ রাস্তায় বেরোনো বন্ধ করে।
এ দিন সকালে নিউমার্কেট এলাকায় অনেকে দোকান খোলার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশ বন্ধ করে দেয়। অস্থায়ী দোকানও বসতে দেওয়া হয়নি। বেশির ভাগ লোকজন প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হননি। মাস্ক পরা ছিল। অটো-টোটো বন্ধ ছিল। বনগাঁ থানার আইসি মানস চৌধুরী বলেন, ‘‘রবিবার লকডাউন ভেঙে বাজারে অকারণে বেরোনোর অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ২টি বাইক।’’